৬ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকারিতা হারিয়েছে ১০অ্যান্টিবায়োটিক
সবচেয়ে মারাত্মক ছয়টি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে ৯০ ভাগ কার্যকারিতা হারিয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় সারির ১০টি অ্যান্টিবায়োটিক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় এই তথ্য মিলেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, সংক্রমণের কারণে দেশে প্রতি বছর এক লাখ ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার না কমালে মৃত্যু আরও বাড়বে।
৮২ ভাগ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধেই কাজ করছে না অ্যান্টিবায়োটিক৮২ ভাগ ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধেই কাজ করছে না অ্যান্টিবায়োটিক। পৃথিবীতে যেসব ব্যাকটেরিয়া মানুষের অসুস্থতার কারণ, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর ক্লেবসিয়েলা, ই-কোলাই, সালমোনেলাসহ ছয়টি। এগুলোর কারণেই নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, টাইফয়েডসহ বিভিন্ন রোগ হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে যেসব অ্যান্টিবায়োটিক সবচেয়ে প্রচলিত তেমন ১০টি অ্যান্টিবায়োটিকে আশানুরুপ ফল মিলছে না। এর মধ্যে অ্যামোক্সাসিলিন ও সিপ্রোফ্লক্সাসিন কাজ করছে না ৯৭ ভাগ ক্ষেত্রেই। সেফিক্সিম, সেফট্রিয়াক্সনের মতো শক্তিশালী ওষুধও কাজ করছে মাত্র ১০ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে।
২৯ শতাংশ রোগীর দেহে অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর২৯ শতাংশ রোগীর দেহে অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফজলে রাব্বী চৌধুরী বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন সত্যিই ভয়ানক হয়ে উঠেছে। এভাবে যদি আমরা রিজার্ভ গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে থাকি, তাহলে অচিরেই এগুলোও অকার্যকর হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন সংক্রমিত হয়ে রোগীরা এলে ডায়াগনসিসে দেখা যাবে সেটা সকল অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী। চিকিৎসকরা তখন নিরুপায়।’
জীবাণুর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা হারানোর ফলে রোগীর সুস্থ হতে সময় লাগছে বেশি। বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয় ও প্রাণহানিও। বহুল ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকের মধ্যে ৬৭ শতাংশই অকার্যকরবহুল ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকের মধ্যে ৬৭ শতাংশই অকার্যকর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ সকল চিকিৎসকদের সঠিক ডায়াগনসিস শেষ করে ওষুধ প্রেসক্রাইবের জন্য আহ্বান জানান।
দেশে ৪০ ধরনের বেশি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হয়। এগুলোর বেশিরভাগই অত্যন্ত কার্যকরি। তবে বিপদের কথা হলো, এমন অ্যান্টিবায়োটিক আর তৈরি হচ্ছে না।