৬৮৮৬৬ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ চট্টগ্রাম কাস্টমসে
দেশের সবচেয়ে বড় অঙ্কের রাজস্ব আহরণকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬৮ হাজার ৮৬৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এ প্রতিষ্ঠানটি।
দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি, রপ্তানি পণ্যের ওপর নির্ধারিত শুল্কহারে রাজস্ব আহরণ করে কাস্টমস।
এর আগে ২০২০–২১ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ৫১ হাজার কোটি, ২০২১–২২ অর্থবছরের ৫৯ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা এবং ২০২২–২৩ অর্থবছরে ৬১ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করেছিল।
এবার কাস্টমসের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আহরণ হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৭ হাজার ৬১৬ টাকা। যদিও গত অর্থবছরের তুলনায় রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের বেশি।
ডলার সংকট, এলসি কমে যাওয়া, বিলাসী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করাসহ নানা কারণে এবার বৈরীভাব ছিল ব্যবসা-বাণিজ্যে। চট্টগ্রাম বন্দরেও জাহাজ আসার হার গত বছরের চেয়ে ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ কমেছে। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ হাজার ৯৭১টি, এর আগের অর্থবছরে ছিল ৪ হাজার ২৫৩টি। তবে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৫ দশমিক ৩৬ ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বন্দর। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্য হিসেবে)। এর আগের অর্থবছরে যা ছিল ৩০ লাখ ৭ হাজার ৩৭৫ টিইইউস। এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১২ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৭২৪ মেট্রিক টন। এর আগের অর্থবছরে যা ছিল ১১ কোটি ৮২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ টন। এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।
কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুশফিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে ৬৮ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আহরণ করেছে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। কাস্টমস শুধু রাজস্ব আহরণ করে না একই সঙ্গে বন্দর দিয়ে যাতে চোরাচালান, শুল্কফাঁকি, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি, দেশের নিরাপত্তা- জনস্বাস্থ্য-জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি এমন পণ্যের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নিরলস কাজ করছে। পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, রপ্তানি বাড়াতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করে কাস্টমস।