৭ দফা দাবিতে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সমাবেশ ও মিছিল
অভ্যুত্থানে নিহত শ্রমিকসহ সকল হত্যার বিচার, আহতদের ক্ষতিপূরন, স্ট্যান্ডভিত্তিক চাঁদাবাজি বন্ধ, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের BRTA স্বীকৃত লাইসেন্সসহ ৭ দফা দাবিতে সোমবার( ১৯ আগস্ট) রিক্সা,ব্যাটারিচালিত রিক্সা-ভ্যান–ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রচন্ড বৃষ্টিবিঘ্নিত পরিবেশ উপেক্ষা করে প্রথমে একটি মিছিল নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মিছিলপরবর্তী সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল মল্লিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক কমরেড ইমাম হোসেন খোকন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ বরিশাল জেলার সমন্বয়ক ডা মনিষা চক্রবর্তী, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল হাওলাদার, বরিশাল রিক্সা-ভ্যান চালক-শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল শেখ, ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ বরিশাল জেলা শাখার সংগঠক আইয়ুব আলী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সুজন আহমেদ।
সমাবেশ নেতৃবৃন্দ বলেন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনার পতন হয়েছে।
এই গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখ সারির যোদ্ধা ছাত্ররা ছিল কিন্তু সারাদেশে এই অভ্যুত্থানে শ্রমিকদের অবদানও ছিল অতুলনীয়। পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানা যায় ,গণ অভ্যুত্থানে নিহত-আহত ছাত্রজনতার মধ্যে পাঁচ শতাধিকের বেশি শ্রমিক নিহত এবং পাঁচ হাজারের মত শ্রমিক আহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্রদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু আহত-নিহত শ্রমিকদের এখন পর্যন্ত কোন ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি। বৈষম্যের বিরুদ্ধে এই গণ অভ্যুত্থানের চেতনা কখনোই বাস্তবায়ন হবেনা যদিনা শ্রমিকদের সাথে সমাজে প্রচলিত বৈষম্য দূর করা হয়।
বক্তারা অবিলম্বে সারাদেশে আহত-নিহত শ্রমিকসহ সকল হত্যার বিচার এবং এই নিহত শ্রমিকদের পরিবারের পুনর্বাসন ও আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। বক্তারা সোনারগাঁও টেক্সটাইল, অপসোনিন ফার্মার শ্রমিকসহ সকল শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়ার দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ব্যাটারি চলিত রিক্সা-ইজিবাইক শ্রমিকরা লাইসেন্সের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। সারাদেশে ৪০ লক্ষ রিক্সা-ইজিবাইক শ্রমিকের সাথে জড়িত প্রায় ২ কোটি মানুষের জীবিকা সড়ক মন্ত্রণালয়ে পড়ে থাকা BRTA স্বীকৃত থ্রি হুইলার নীতিমালা উপর নির্ভর করে আছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে থ্রি হুইলার নীতিমালা চূড়ান্ত করে ব্যাটারি চলিত যানবাহনের BRTA স্বীকৃত লাইসেন্স দেওয়ার দাবি করেন। একইসাথে বরিশালে স্ট্যান্ডে স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য নেতৃবৃন্দ দাবি জানান।