ফাঁকা বাসার তালা ভেঙে মালামাল নিয়ে সটকে পড়ে ওরা
রিফাত, রাশেদ ও রাসেল। তিনজনই বয়সে তরুণ, তবে পেশায় চোর। প্রথমে তারা একটি এলাকা টার্গেট করে সেই এলাকার বিভিন্ন বাসা-ফ্ল্যাটে ঘুরে ঘুরে রেকি করে। আর সেই বাসা ফাঁকা পেলেই তালা ভেঙে ঢুকে পড়ে। এরপরই মূল্যবান সব জিনিসপত্র নিয়ে দেয় চম্পট। এরপর দামি ইলেকট্রনিক্স পণ্যগুলো আবার বিক্রি করে দেয় মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে।
ঠিক এভাবেই নোকিয়া কোম্পানির এক কর্মকর্তার বাসায় চুরি করে ওরা। কিন্তু টাকা ‘হজম’ করার আগেই তাদের ধরে ফেলেছে পুলিশ। উদ্ধার করেছে চোরাই মালামালও।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) নগরের কোতোয়ালী থানার খাতুনগঞ্জ এলাকায় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কসবা থানার হাজীপুর গ্রামের মো. শাফায়েত হোসেন প্রকাশ রিফাত (২৫), কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার নেয়ামতপুর গ্রামের মো. রাশেদ (২১) এবং ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার পাঠাননগর গ্রামের মো. আবুল কাশেমের পুত্র মো. রাসেল (২১)। এদের মধ্যে রিফাত ও রাসেল কোতোয়ালী থানার এবং রাশেদ বাকলিয়া থানার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গত ২৩ ডিসেম্বর নোকিয়া কোম্পানির কর্মকর্তা তানভীর ইসলাম কোতোয়ালী থানার হেমসেন লেইন মোমিন রোডের ডা. সিরাজুল ইসলামের বিল্ডিংয়ের ৩য় তলায় ভাড়ায় থাকেন। তিনি বাসা থেকে কাজে বের হওয়ার পর ফিরে দেখেন বাসার তালা ভাঙা এবং বাসা থেকে ২ ভরি ওজনের এক জোড়া স্বর্ণের চুরি, দুইটি ল্যাপটপ ও নগদ ১৮ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম ওবায়দুল হক সিভয়েসকে বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর আমাদের একটি চৌকস টিম ঘটনাস্থল ও আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ চেক করে চুরির সাথে জড়িত আসামি রিফাতকে শনাক্ত করে। তাকে গ্রেপ্তারের পর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা রাশেদ ও রাসেলকে গ্রেপ্তার করি। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাই কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়।’
ওসি বলেন, ‘আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন স্থানে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করে খালি বাসা রেকি করে। বাসায় মানুষের অনুপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া মাত্র বাসার তালা ভেঙ্গে ঘরের ভিতর ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে সুকৌশলে ঘরের ভিতর হতে মূল্যবান মালামাল চুরি করে পালিয়ে যায়।’
‘গ্রেপ্তার রিফাতের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় আগের ৪টি চুরির মামলা রয়েছে। সে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করছে। তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।’ যোগ করেন ওসি এম ওবায়দুল হক।