কাজীর দেউড়ি বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়
চট্টগ্রাম: পরীক্ষামূলকভাবে কাজীর দেউড়ি বাজারে ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি শুরু হচ্ছে আজ (২৯ ডিসেম্বর)। রানের মাংস, হাড় একসঙ্গে (মিক্স) সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে এ মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন মো. খোকন।
তিনি বলেন, এমনিতে হাড়ছাড়া সঠিক মাপে প্রতি কেজি দেশি গরুর মাংস ৯০০ টাকা এবং হাড়সহ ৭০০-৭৫০ টাকা বিক্রি হয় চট্টগ্রামের অভিজাত বাজারে। এক্ষেত্রে নগরের বিভিন্ন স্থানে হাড়সহ মিক্স মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রির উদ্যোগের খবর পাই। এতে উৎসাহিত হয়ে আমিও পরীক্ষামূলকভাবে শুক্রবার কাজীর দেউড়ি বাজারে ৬৫০ টাকায় মিক্স মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি জানান, ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দামের একটি গরু ভোর ৫টায় জবাই করার পরিকল্পনা রয়েছে। চাহিদা থাকলে আরেকটি গরু জবাই করবো যার দাম ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। সকাল সাতটা-আটটার মধ্যে বিক্রি শুরু করবো বাজারে। যদি আমার লাভ সীমিতও হয়, লোকসান না হয় তাহলে সপ্তাহে কয়েকদিন বিক্রির এবং উত্তর বঙ্গ থেকে বেশি পরিমাণে গরু আনার পরিকল্পনা রয়েছে। গরুর মাংস যাতে ধনী গরিব সবাই খেতে পারে তার জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছি। আমি সবার সহযোগিতা চাই।
এদিকে বেশ কয়েকমাস ধরে চকবাজার ওয়ার্ড কার্যালয়ের দোতলায় প্রতি সোমবার ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস এবং ৬২০ টাকায় মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনু বলেন, আমরা ২০-২৫ জন সমমনা তরুণ মিলে এ উদ্যোগ নিয়েছি। এখন প্রতি সোমবার ৪টি মহিষ ও ১টি গরু জবাই করতে হয়। দিন দিন চাহিদা বাড়ছে। বেশিরভাগ সময় আমরা উদ্যোক্তারা ভর্তুকি দিয়ে থাকি। পাঁচলাইশ মির্জাপুলে প্রতি শুক্রবার টাটকা সুপার শপে প্রতিকেজি ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে।
চট্টলার অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক মোহাম্মদ কায়ছার আলী চৌধুরী বলেন, গরুর মাংস গরিব-দুঃখী মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। চট্টগ্রামের মানুষ মেজবান পছন্দ করে। কিন্তু নানা কারণে মেজবানের আয়োজন কমে গেছে। অনেক মানুষ কোরবানির ঈদ ছাড়া মাংস খেতে পারে না। ঢাকার আদলে চট্টগ্রামেও গরুর মিক্স মাংস ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রির জন্য আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছি। একই সঙ্গে মাংস বিক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করছি। ইতিমধ্যে বেশ কিছু তরুণ উদ্যোক্তা, খামারি ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেছেন। আশার কথা প্রথমবার কাজীর দেউড়ির মতো অভিজাত বাজারে মো. খোকন নামের একজন মাংস বিক্রেতাকে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছি।