রফিকুল নয়, নবীউলই চসিকের প্রধান প্রকৌশলী
অবশেষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশেনের প্রধান প্রকৌশলীর চেয়ার ‘টানাটানির’ অবসান হচ্ছে। রফিকুল ইসলাম নয়, নবীউল ইসলামই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশেনের প্রধান প্রকৌশলী— চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
হাইকোর্টে নবীউলের আপিল আদেশ এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের আইনি মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের উপ -সচিব মাহবুবা আইরিন। ২৮ ডিসেম্বর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এ চিঠি পাঠানো হয়। তবে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিতে বললেও বিষয়টির সুরাহা নির্ভর করছে পুরোপুরি চসিক মেয়রের হাতে।
এর আগে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম নাকি নবীউল ইসলাম তার সিদ্ধান্ত জানতে গত ২০ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় চসিক। মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন হতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে বদলির আদেশের বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নং-১৪৭৪৭/2023 এর আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের লিভ টু আপিল আদেশ ও এটার্নি জেনারেল এর মতামতের কপি পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে এতদ্সঙ্গে প্রেরণ করা হলো।’ ওই আপিলে নবীউল ইসলামের প্রধান প্রকৌশলী পদে বসতে কোনো বাধা নেই বলে আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে চসিক সূত্রে জানা গেছে, ৬ দিন আগে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা এলেও নবীউল ইসলাম এখনো যোগদান করেননি। মেয়রের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন নতুন প্রধান প্রকৌশলী। এমনকি এখনো পর্যন্ত দায়িত্বভার ছাড়েননি প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামও।
অন্যদিকে, গত ১১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ডিও লেটার (আধা সরকারি পত্র) পাঠান মন্ত্রণালয়ে। সেসময় সেই ডিও লেটার প্রত্যাখ্যান করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব।
প্রসঙ্গত, অবসরে যাওয়ার চার মাস আগে গত ১৪ নভেম্বর চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে বদলি করা হয় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে। তাঁর জায়গায় পদায়ন করা হয় পাবনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নবীউল ইসলামকে। এরপরই বেঁকে বসেন রফিকুল ইসলাম। মন্ত্রণালয়ের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছেন। আদালতের ‘স্টে অর্ডার’ (স্থগিতাদেশ) নিয়ে নিয়মিত অফিসও করেছেন এ প্রকৌশলী। আবার একইভাবে নতুন পদায়ন হওয়া প্রধান প্রকৌশলী নবীউল ইসলামও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ‘স্ট্যাটাস কো’(স্থিতিবস্থা) নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে তিন সপ্তাহ পর সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেন মন্ত্রণালয়।