হাড়কাঁপানো শীতে চরম ভোগান্তিতে পঞ্চগড়ের মানুষ
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিনে তাপমাত্রা বাড়ালেও তীব্র শীত আর হিম বাতাসে দুর্বিষহ সময় পার করছেন দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারগুলো। তাপমাত্রা একটু বাড়লেও হাড় কাঁপানো শীত, ঘনকুয়াশাসহ হিম বাতাস অব্যাহত রয়েছে।
আজ বুধবার (১০ জানুুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্।
এদিকে সন্ধ্যার পরপরই ঘনকুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে এলাকা। উত্তরের হিম বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। সারাদিনেও মিলছেনা সূর্যের দেখা। তবে ঘনকুয়াশার জন্য সড়ক ও মহাসড়কে চলাচল যানবাহনকে সকাল ১০টা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করতে দেখা গেছে। ঘনকুয়াশা সাথে হিম বাতাসে জন্য কাজে নামতে পারছেন না কৃষক ও শ্রমিকেরা।
মাইক্রোবাসচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘনকুয়াশা আর হিম বাতাসের কারণে ভাড়া তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। ভাড়া পাওয়া গেলেও কুয়াশার জন্য অত্যন্ত সাবধানে ধীর গতিতে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে জ্বালানি খরচও বেশি হচ্ছে।
ভ্যান চালক জাফর আলী বলেন, কুয়াশা বাতাসের জন্য রাস্তায় বেশিক্ষণ টেকা যাচ্ছে না। আর রাস্তায় ভ্যান নিয়ে থাকলেও যাত্রী মিলছে না। এ কারণে সকাল সকাল রাস্তায় না এসে সকাল ১০টার পর আসতে হচ্ছে। এতে রোজগার একেবারেই কমে গেছে।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতাল গুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় থাকছেই। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ বলেন, গত দুইদিন ধরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে প্রচুর শীত অনুভূত হচ্ছে। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ০ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।