চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এবার সংবাদ প্রদর্শনী
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার ও সহ-উপাচার্য বেনু কুমার দের পদত্যাগের দাবিতে এবার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়মের সংবাদ প্রদর্শনীর কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক সমিতি। মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ প্রদর্শনী হয়। শেষ হয় বিকেল চারটায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কার্যালয় রয়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর থেকেই এ ভবনের সামনে পদত্যাগের এক দফা দাবিতে কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষক সমিতি। আগামীকাল বুধবার ও আগামী বৃহস্পতিবারও এ কর্মসূচি চলবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতার ও সহ-উপাচার্য বেনু কুমার দের পদত্যাগের দাবিতে এবার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়মের সংবাদ প্রদর্শনীর কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক সমিতি। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ প্রদর্শনী হয়। শেষ হয় বিকেল চারটায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কার্যালয় রয়েছে। গত ১৭ ডিসেম্বর থেকেই এ ভবনের সামনে পদত্যাগের এক দফা দাবিতে কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষক সমিতি। আগামীকাল বুধবার ও আগামী বৃহস্পতিবারও এ কর্মসূচি চলবে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এর আগেও তাঁরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। আগামী দুই দিন সংবাদপত্র প্রদর্শনী কর্মসূচি চলবে।
প্রশাসনের বাধার অভিযোগ
এদিকে শিক্ষক সমিতির এই কর্মসূচিতে প্রশাসন বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাধার কারণে বেলা ১১টার সংবাদ প্রদর্শনী কর্মসূচি দুইটায় শুরু করতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আবদুল হক। তিনি বলেন, কর্মসূচির প্যান্ডেল করার জন্য সকালে ডেকোরেশন শ্রমিক ক্যাম্পাসে আসার কথা ছিল। তবে ওই শ্রমিকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে সমিতির সহায়তায় ভেতরে এলে প্যান্ডেল করতে বাধা দিয়েছে প্রক্টরিয়াল বডি।
সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক বলেন, প্রক্টরিয়াল বডি প্যান্ডেল তৈরিতে বাধা দেওয়ার পর সমিতির সদস্যদের সঙ্গে সভা করেছে। এ সভায় প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে তাঁরা তাৎক্ষণিক আলোচনায় যেতে রাজি হননি। সমিতির বাকি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে প্রক্টরকে জানানো হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কাউকে বাধা দেননি। তাঁরা শিক্ষক সমিতিকে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। সমিতি বাকি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর উপাচার্যের বিরুদ্ধে অধ্যাদেশ লঙ্ঘন করে বাংলা ও আইন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ এনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিল শিক্ষক সমিতি। সমিতির এ অবস্থানের মধ্যেই আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেন উপাচার্য শিরীণ আখতার। এর প্রতিবাদে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদত্যাগের এক দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষক সমিতি। যদিও উপাচার্য শিরীণ আখতার ২১ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়নি। আইন মেনেই তিনি নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তবে ৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে জানিয়ে বাংলা ও আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া স্থগিত করার অনুরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।