অন্যান্য

মেঘনা গ্রুপের জাহাজ থেকে পাঁচ নাবিক উধাও

মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশের পতাকাবাহী সমুদ্রগামী দুটি জাহাজ থেকে উধাও হয়ে গেছেন পাঁচ নাবিক। ‘মেঘনা অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘মেঘনা ক্রাউন’ নামে দুটি জাহাজেরই মালিক দেশের বড় শিল্পগ্রুপ ‘মেঘনা’। সরকারি সমুদ্র পরিবহন অফিস ইতোমধ্যে পলাতক হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে এসব নাবিকের সিডিসি (কন্টিনিউয়াস ডিসচার্জ সার্টিফিকেট) বাতিল করেছে।

মেঘনা গ্রুপের মালিকানাধীন দুটি জাহাজ থেকে পাঁচ নাবিক পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন গ্রুপটির মহাব্যবস্থাপক (শিপিং) প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু তাহের। তিনি জানান, চারজন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এবং একজন ‘শোর-লিভ’ চলাকালে ব্রাজিলে হাওয়া হয়ে গেছেন।

‘মেঘনা অ্যাডভেঞ্চার’ বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজে নাবিক নিয়োগ দিয়েছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠান মার্কেন্টাইল শিপিং লাইন্স লিমিটেড। আর ‘মেঘনা ক্রাউন’ বাল্ক ক্যারিয়ারে নাবিক নিয়োগ দেয় মাস গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মেরিন এজেন্সি সার্ভিসেস লিমিটেড।

গত ২৬ ডিসেম্বর ‘মেঘনা ক্রাউন’ থেকে এক নাবিক পালিয়ে যান। ব্রাজিলের মারানহো রাজ্যের সাও লুইসের ইটাকুই বন্দর থেকে সার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্স যাচ্ছিল জাহাজটি। ব্রাজিলের সালভাদোর বন্দরে ‘শোর-লিভ’ চলাকালে তিনি উধাও হয়ে যান। ওই নাবিকের নাম মো. ইমাম হোসেন। ওয়েলার হিসেবে তিনি জাহাজটিতে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। তার সিডিসি নম্বর T/31641। জাহাজটি ১১ ডিসেম্বর ব্রাজিলের ইটাকুই বন্দর থেকে যাত্রা করে।

সূত্র জানায়, ব্রাজিলের সালভাদোর বন্দরে নোঙর করা অবস্থায় মো. ইমাম হোসেনসহ পাঁচজন নাবিক ‘শোর-লিভ’ নিয়ে জাহাজ ত্যাগ করেন। ইমাম ছাড়া বাকি চারজন জাহাজে ফিরে আসেন।

ইমাম হোসেনের পরিবারের খোঁজ নিয়ে তার স্ত্রীর সন্ধান পেয়েছে। তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ইমাম চাকরিতে যোগদানের সময় ম্যানিং এজেন্টে স্ত্রীর যে যোগাযোগ নম্বর দিয়েছিলেন তিনি পালানোর পর সেটিও পরিবর্তন করেছেন তার স্ত্রী। নতুন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি এখন অন্তঃসত্তা উল্লেখ করে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।

এর আগে ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি নদীতে ‘মেঘনা অ্যাডভেঞ্চার’ নামে একটি বাল্ক ক্যারিয়ার থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে গেছেন চার নাবিক। জাহাজটি রাশিয়া থেকে পণ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্স বন্দরে যাচ্ছিল। কিন্তু সেখানে পৌঁছার আগেই ওই চারজন মিসিসিপি নদীর পশ্চিম তীরে বেলে চেসে এলাকায় নদীতে ঝাঁপ দেন। পরবর্তীতে তাদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার এবং ছোট নৌ-যান নিয়ে দীর্ঘ অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র কোস্টগার্ড। তবে তাদের খোঁজ মেলেনি।

নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যাওয়া জাহাজটির চিফ কুক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম। তার সিডিসি নং T/30730। পাসপোর্ট নং A02461831। তার বাড়ি নাটোর জেলায়। জাহাজটির জিএস মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তার বাড়ি চট্টগ্রামে। তার সিডিসি নং T/31286 এবং পাসপোর্ট নং EH0029234। ডেক ক্যাডেট- মো. সোহানুর রহমান। তার সিডিসি নং C/O/11617 এবং পাসপোর্ট নং A07445740। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ। অন্যজন আব্দুল কুদ্দুস। তিনি জাহাজে এবি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি দিনাজপুর। তার সিডিসি নং T/30952 এবং পাসপোর্ট নং A03063592।

দেশের সরকারি সমুদ্র পরিবহন অফিস ইতোমধ্যে এদেরকে পলাতক হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে তাদের সিডিসি বাতিল করেছে বলে জানা গেছে। পলাতক নাবিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নাবিক পালানোর পর সেই তথ্য জাহাজ কর্তৃপক্ষ এবং ম্যানিং এজেন্ট জানায় নৌপরিবহন অধিদপ্তরের অধীন সরকারি সমুদ্র পরিবহন অফিসকে। এরপর প্রাথমিকভাবে ওই নাবিককে একটি সময় দিয়ে শোকজ করা হয়। এর মধ্যে শোকজের জবাব না পেলে The Bangladesh Merchant Shipping Ordinance, 1983 এর ১০৯ ধারা অনুযায়ী সিডিসি বাতিল করা হয়। সেক্ষেত্রে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর ৯০ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ থাকে। আর পলাতক নাবিকের গ্যারান্টারের কাছ থেকে বন্ড সাইন অনুযায়ী পাঁচ লক্ষ টাকা ৩০ দিনের সময় দিয়ে আদায় করা হয়। পরবর্তীতে পলাতক নাবিকের বিরুদ্ধে মেরিন কোর্টে মামলাও করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী মেঘনা গ্রুপের জাহাজ থেকে পলাতক পাঁচ নাবিকের সিডিসি বাতিল করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো নাবিক আপিল করেননি। আপিলের সময় শেষে তাদের বিরুদ্ধে মেরিন কোর্টে মামলা করা হবে বলে সিভয়েস২৪-কে জানিয়েছেন সরকারি সমুদ্র পরিবহন অফিসের শিপিং মাস্টার মো. জাকির হোসেন চৌধুরী।

ব্রাজিলে পালিয়ে যাওয়া নাবিক ইমাম হোসেনের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মেরিন এজেন্সি সার্ভিসেস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার শামীম আলম সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘নাবিক নিয়োগের পর জাহাজে যখন সাইন-অন করে তারপর থেকে সাইন অফ করা পর্যন্ত তার অথরিটি জাহাজের ক্যাপ্টেন। যেহেতু সে শোর-লিভে পালিয়ে গেছে এটা আমাদের রেসপন্সিবিলিটি না। তারপরও আমরা সেখানকার শিপিং এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করেছি। পরবর্তীতে খোঁজাখুঁজির পর তার বিরুদ্ধে ব্রাজিল পুলিশে কমপ্লেইন করা হয়েছে।’

কোনো ব্যক্তির অপরাধের দায় প্রতিষ্ঠান নেবে না বলেও জানান মেরিন এজেন্সি সার্ভিসেস-এর এই কর্মকর্তা। এ ধরনের কর্মকাণ্ড যারা করে এবং যারা জড়িত তাদের সবাইকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এছাড়া পলাতক নাবিকের ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট সব ডিপার্টমেন্টকে ইনফর্ম করা হয়েছে। তার সকল তথ্য এবং এভিডেন্স কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে বলেও জানায় মেরিন এজেন্সি সার্ভিসেস লিমিটেড।

মেরিন ট্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে নির্মিত মেঘনা ক্রাউনের (IMO: 9838486) ধারণ সক্ষমতা ৬২ হাজার ৬৪৭ মেট্রিকটন। ২০০ মিটার লম্বা ৩২.২৬ মিটার প্রশস্থ জাহাজটি বর্তমানে নিউ অরলিন্স বন্দরে অবস্থান করছে।

২০১৮ সালে নির্মিত মেঘনা অ্যাডভেঞ্চার (আইএমও: ৯৮০৫৭৬৪) ৬২ হাজার ৪৭২ মেট্রিকটন ধারণ সক্ষমতার ১৯৯.৯৮ মিটার লম্বা ৩২.২৭ মিটার প্রশস্থ জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে চট্টগ্রামের পথে রওনা দিয়ে বর্তমানে ক্যারাবিয়ান সাগরে অবস্থান করছে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘‘নাবিক পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা বহুদিন আগে থেকে ঘটছে। একটি আন্ডার ডেভেলপ কান্ট্রি থেকে যখন ডেভেলপ কোনো কান্ট্রিতে যায় মানুষ, তখন বেটার অপরচুনিটির জন্য এই কাজগুলো করে। আমাদের দেশে সরকারের রিকগনাইজড কিছু ম্যানিং এজেন্ট আছে তাদের মাধ্যমে এদের রিক্রুটমেন্টগুলো হয়। এখানে সব ম্যানিং এজেন্ট যে ভালো ‘আই হ্যাভ এ ডাউট’। ‘দেয়ার হ্যাভ সাম ম্যানিং এজেন্ট’ যারা এটা নিয়ে ব্যবসা করে। সরকার যদি এ ব্যাপারে কঠোর হতো, যে লোক পালাবে সে যেই ম্যানিং এজেন্ট থেকে গেছে এবং তার ফ্যামিলিসহ টোটাল এই গ্রুপটাকে যদি সরকার একটা ব্লকেডের মধ্যে নিয়ে আসতো তাইলে এটাকে স্ট্রিকলি কন্ট্রোল করা যেত। যতগুলো কেস এরকম আছে দেখবেন মেক্সিম্যাম এর সাথে তার ম্যানিং এজেন্ট ইনভলভ। এবং দু-একটা হয় যারা ভিশন লেস তারা নিজেরাই চলে যায়।’’

‘এটা একটা শিপ ওনারের জন্য বিশাল বড় বার্ডেন। এই শিপ ওনারকে ফাইন করবে। ওর জাহাজকে ব্যান করবে। তার পরবর্তী জাহাজ আসলে সেটার উপর তারা এমবার্গো দিবে। সেটার ওপর ফারদার রেস্ট্রিকশন দিবে। এবং শোর সিকিউরিটি বাড়বে, শোর-লিভের জন্য শোর-পাস দিবে না, অনেক কড়াকড়ি দিয়ে ভরিয়ে ফেলবে। ওভারঅল কান্ট্রির একটা রেপুটেশনের ব্যাপার জড়িত। জাতীয় ইজ্জতের বিষয় চিন্তা করে সরকারের কঠোর হওয়া প্রয়োজন। এ ঘটনায় ব্রাজিল হয়তো সামনে কোনো নাবিককে তাদের দেশে নামতেও দিবে না। নামাটা বড়ো কথা না, আমাদের অনেক জাহাজ সাউথ আমেরিকায় যায়। আমাদের ছেলেরা ব্রাজিলে ফ্লাই করে জাহাজে জয়েন করে। জাহাজ থেকে নেমে আসে। সেগুলো বন্ধ করে দিবে। যেটা এখন আমেরিকাতে টোটালি বন্ধ। জাহাজ থেকে নেমে পালিয়ে যাওয়ার প্রভাব পুরো বাঙালিদের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহের মতো বয়ে যাবে।’-যোগ করেন ক্যাপ্টেন আনাম।

তিনি জানান, ফিলিপাইনের মতো দেশ নাবিক পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ম্যানিং এজেন্টকে সাসপেন্ড করেছে। যে পালিয়েছে তার পরিবারের কাছ থেকে পেনাল্টির টোটাল কস্ট রিকভারি করেছে এবং এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ভীতি সৃষ্টি করে দিয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে পরিবারের সম্পত্তি ক্রোক করার বিধানও আছে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদশের পতাকাবাহী জাহাজ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটলেও দেশে এর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক ও কঠোর শাস্তির বিধান নেই। যার জন্যই নাবিক রিক্রুটিং এজেন্সি, ম্যানিং এজেন্ট এবং সংঘবদ্ধচক্র দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার সাহস পাচ্ছে। এ ধরনের অপরাধ বন্ধ করা না গেলে অপার সম্ভাবনার মেরিটাইম সেক্টর ক্ষতির মুখে পড়বে। এমন অপরাধের সাথে কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির আওতায় আনারও দাবি জানান তিনি।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘নাবিক পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বহিবিশ্বে দেশ ইমেজ সংকটের মধ্যে পড়বে-এটাই স্বাভাবিক। তবে আমরা পালিয়ে যাওয়া নাবিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সিডিসি বাতিল করা হয়েছে, পলাতক হিসেবে তাদের পরিবারকে বন্ডের পাঁচ লক্ষ টাকা অধিদপ্তরকে দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে ননবেইলেবল (অজামিনযোগ্য) ওয়ারেন্ট ইস্যু হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ভবিষ্যতে যাতে না পালায় সেজন্য নাবিকদের গ্যারান্টার যিনি হবেন তার বন্ডটাকে আরও স্ট্রং করছি। এর পাশাপাশি একাডেমিগুলোতে বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করছি যাতে বিদেশে পালিয়ে যাওয়াটা যে তাদের লাইফের কত বড় ভুল সিদ্ধান্ত, তা বোঝানো। পালিয়ে বেড়াতে হবে তাদের। কোনো দিন দেশে আসতে পারবে না তারা। ইউরোপ-আমেরিকাতে এখন তো সারভাইব ভেরি ডিফিকাল্ট । তাই সে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হবে? এসব বোঝাতে আমরা একাডেমিগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছি ‘

‘তাছাড়া একটা ভিডিও ক্লিপ করে দেখানোর নির্দেশনা দিয়েছি; যেখানে একজন পালিয়ে যাওয়া নাবিকের প্রবাস জীবন কেমন হতে পারে?’- যোগ করেন কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ।

তিনি আরও বলেন, ‘যিনি পালাবেন তিনি আগে থেকে পালানোর চিন্তা করেই নাবিক হিসেবে ঢুকেন। যিনি পালাচ্ছেন বা পালাবেন চিন্তা করছেন তারা অনেকদিনের প্রিপারেশন নিয়েই চেষ্টা করেন। অনেকে আবার সঠিক শিক্ষার অভাবে পালানোর ডিসিশন নিচ্ছেন। কারণ যিনি পালিয়েছেন তিনি কখনো আমেরিকার স্যোসাল সেইফ গার্ডের আওতায় আসবেন না। তার পরিবার হয়তো বাংলাদেশে ভাবছে, উনি কয়েকদিন পর আমেরিকার ভিসা পাবেন ফ্যামিলিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আসলে এটা ঘটবে না। আমরা এসব বিষয় যখন ট্রেইনিং দিচ্ছি, ক্লাস নিচ্ছি তখন সাইক্লোজিস্ট দিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি।’

তবে নাবিক পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ম্যানিং এজেন্টের কোনো সম্পৃক্ততার বিষয় জানা নেই জানিয়ে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো এজেন্ট পালানোর জন্য নাবিকদের উদ্বুদ্ধ করে কীনা আমার জানা নেই। নাবিক পালালে ওই এজেন্সিরওতো একটা দুর্নাম হচ্ছে। কারণ এজেন্সিকেও আমরা শোকজের আওতায় নিয়ে আসছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *