চট্টগ্রাম

দামে কারসাজি বন্ধের দাবিতে ক্যাবের রিকশা মিছিল

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে এবং সিন্ডিকেট কারসাজি বন্ধের দাবিতে রিকশা মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন; পরিবেশবিদ, শিক্ষাবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. ইদ্রিস আলী; ন্যাপ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাসগুপ্ত; ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর; ক্যাব চান্দগাঁও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম; ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভুঁইয়া; ক্যাব চকবাজারের আবদুল আলীম; ক্যাব বায়েজিদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ব ম হুমায়ুন কবির; ক্যাব হাটহাজারীর লায়লা ইয়াসমিন; ক্যাব যুব গ্রুপের রাসেল উদ্দিন প্রমুখ।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘সরকার চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর আমদানির ওপর শুল্ক কমিয়েছে। খাদ্যপণ্য আমদানির ওপর ৫ শতাংশ রাজস্ব কর হ্রাস করেছে। কিন্তু দেশের বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে তার কোনও প্রভাব নেই। উল্টো কমার পরিবর্তে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে লিটারে দুই টাকার কাছাকাছি, পেঁয়াজের দামও আগের মতোই অস্থির। মূল্য পরিস্থিতি ভোক্তার নাগালের ধারে-কাছে আসছে না। ভরা মৌসুমে একদিকে চালের মূল্য ঊর্ধ্বগামী, অন্যদিকে শীতকালীন শাক-সবজির ভালো উৎপাদনের মধ্যেও এসবের মূল্য সাধারণের ক্রয়-ক্ষমতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যাচ্ছে। আইন প্রয়োগে শিথিলতা ও স্থানীয় প্রশাসনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বারবার পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের বাজারে কারসাজি, মজুত ও অতি মুনাফাসহ নানা কারসাজি করছেন।

‘ব্যবসায়ীরা একবার পেয়াঁজ, একবার আলু, একবার আদা-মসলা, আরেকবার স্যালাইন, এমনকি ডাবের মতো পণ্য নিয়ে কারসাজি করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। আবার আইন প্রয়োগে চেহারা ও রাজনৈতিক পরিচয় দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে আইনের স্বাভাবিক গতি বারবার ব্যাহত হচ্ছে। আর সংকট হলেই প্রশাসন বলে বেড়ায়, “সাঁড়াশি অভিযান হবে”। শেষ পর্যন্ত খুচরো দোকানে লোক দেখানো কিছু অভিযান পরিচালনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সদিচ্ছাকে কার্যত ব্যর্থ করে দেওয়া হচ্ছে।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘পবিত্র মাহে রমজানে মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশে মূল্যছাড় হলেও বাংলাদেশে তার বিপরীত। একশ্রেণির ব্যবসায়ীর যুক্তি, রমজানে একমাস ব্যবসা করবো, ১১ মাস বসে থাকবো। সে কারণে রমাজান মাসে মৌসুমি ব্যবসায়ীর ছড়াছড়ি, আর হাত বদল হলেই লাভের অংক বাড়ে। কোনও প্রকার কাগজপত্র ছাড়া আমদানিকারকের কমিশন এজেন্ট এবং আড়তদার পরিচয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আলু, পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্যের মজুত ও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *