মিয়ানমার সীমান্তে অর্ধশতাধিক মর্টার শেল বিস্ফোরণ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষে বিদ্রোহীগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। সপ্তাহব্যাপী সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমারের ওপারে ভারি অস্ত্র নিক্ষেপের পাশাপাশি বিমান থেকে গোলা বর্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সীমান্তবর্তী বসবাসকারী প্রত্যক্ষদর্শীরা। এতে চরম আতঙ্কে রয়েছে তারা।
স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমার-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষে মিয়ানমার অংশে গত ৬ দিনে অর্ধশতাধিক মর্টারশেলের প্রকট শব্দ শুনেছেন বাংলাদেশ সীমান্তের ৫ গ্রামের হাজারো মানুষ ।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে একটানা ২০টির অধিক মর্টার শেলের শব্দ শুনতে পায় স্থানীয়রা। এতে সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশিদের স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিটি মুহূর্ত পার হচ্ছে মর্টারশেলের শব্দের আতঙ্কে।
সীমান্ত এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৪৭ ও ৪৮ নম্বর সীমান্ত পিলারের বাংলাদেশের অভ্যন্তর এসব গোলার আওয়াজে কেঁপে উঠেছে পুরো এলাকা। আর এ কাঁপুনিতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাল্লুকখাইয়া এলাকায় কর্মরত রাবার শ্রমিকেরা ভয়ে কাজ না করে পালিয়ে এসেছেন।
সীমান্তে বসবাসকারী, আলী আকবর ও সরওয়ার কামাল বলেন, গোলাগুলির শব্দে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু ও বাইশফাঁড়িসহ ঘুমধুম সীমান্তের দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার এলাকার বাংলাদেশে বসবাসকারী নিরীহ লোকজনের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে।
তারা বলেন, গত বছর এধরনের মর্টারশেল এসে তুমব্রু গ্রামে পড়ার পর থেকে বাংলাদেশিরা অনেক সময় আতঙ্কে থাকে।
তারা আরো বলেন, মিয়ানমার থেকে সকাল ১১টার দিকে যুদ্ধ বিমানে পরপর ছয়টি বোমা নিক্ষেপ করা হয়। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট থেকে চাকঢালা গ্রামের দক্ষিণাংশের মিয়ানমার থেকে অনবরত গোলার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়।
ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য ফরিদুল আলম বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত উত্তপ্ত। সীমান্তে নিয়মিত মর্টারশেল ছোড়ার মতো আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ১১-বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সাহল আহমদ নোবেল বলেন, এটি মিয়ানমারের বিষয়। তাছাড়া সীমান্তে বিজিবি নিয়মিত টহল দিচ্ছে এবং সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।