টাকার লোভে স্ত্রীকে বিক্রি করে দিলেন স্বামী, অতপর…
দীর্ঘ ২ বছর প্রেম করে বিয়ের পর টাকার লোভে স্ত্রীকে ভারতে বিক্রি করে দিয়েছেন এক স্বামী। ১ বছর পর ভুক্তভোগী গৃহবধূ স্থানীয় এক ব্যক্তির সাহায্যে দেশে ফিরে স্বামীর বাড়িতে গিয়ে বিচার না পেয়ে চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
তদন্তের ভার পায় পিবিআই। ২০ ফেব্রুয়ারি পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে ওই নারীর অভিযোগ প্রতিবেদনে আসেনি ভারতে স্বামীর উপস্থিতি।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভুক্তভোগী নারী জানান, ২০২০ সালে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় নড়াইলের কালিয়া পেড়লী গ্রামের আব্দুল কাদের জিলানীর সঙ্গে। প্রেমের সম্পর্ক বিয়েতে গড়ায় ২০২২ সালের জুলাইয়ে। তিন মাস যেতে না যেতে পরিবারিক কলহ ও মনমালিন্য দূর করতে ভারতে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন স্বামী জিলানী।
২০২২ সালের ৭ অক্টোবর ননদ ও শাশুড়ির উপস্থিতিতে দৌলতপুর থেকে স্বামীর সঙ্গে বাসে রওনা হন ভারতের উদ্দেশ্যে। চোরই পথে তারা ভারতে যান। স্বামীর আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেন। পরে ২৫ লাখ টাকায় স্বামী তাকে বিক্রি করে দেন।
ওই নারী বলেন, পিবিআই যদি সঠিক তদন্ত করতো তাহলে আমি ন্যায় বিচার পেতাম। পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে ভারতে স্বামীর উপস্থিতি উঠে আসেনি। সেখানে লেখা হয়েছে আমার স্বামী আমার সঙ্গে যশোর পর্যন্ত গেছেন। সেখানে গিয়ে অন্য একজনের কাছে আমাকে তুলে দিয়েছেন। কিন্তু আমার স্বামী আমাকে ভারতে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সেখানে নিয়ে যায়।
অভিযুক্তের এলাকাবাসীরা বলেন, নড়াইল থেকে চারজন আসে। আর রেলিগেট থেকে জিলানীর বউ এসে নামে দৌলতপুর বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
ভুক্তভোগীর স্বামী আব্দুল কাদের জিলানী বাংলানিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ দিয়েছেন তা সবই মিথ্যা। আমি তার প্রমাণও দিতে পারবো। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমি ২০১৪ সাল থেকে ঢাকায় চাকরি করি। আমি কখনও বিদেশে যাইনি। গত বছরের ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছি।
পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, তদন্ত করে আমরা যা পেয়েছি তাই প্রতিবেদনে দিয়েছি। উনার যদি কোন আপত্তি থাকে তাহলে আদালতে নারাজি দিতে পারবেন।