বঙ্গোপসাগরে বাল্কহেড ডুবে ২ যুবকের মৃত্যু, নিখোঁজ ১
চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরে বালুভর্তি বাল্কহেড ডুবে শ্রমিক নবীর হোসেন (২১) ও সুকানি আব্দুল মান্নান (৩০) মারা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রামের মিরসরাই-সীতাকুণ্ড এলাকার খাল থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় ইঞ্জিন মিস্ত্রি আব্দুল হান্নান (১৬) নিখোঁজ রয়েছেন।
রাত ৯টার দিকে রামগতি থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত নবীর হোসেন লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বালুরচর গ্রামের ইব্রাহিম বেপারীর ছেলে এবং আব্দুল মান্নান একই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে। নিখোঁজ মিস্ত্রি হান্নান নিহত আব্দুল মান্নানের ছোট ভাই।
নিহত নবীর চাচাত ভাই মেজবাহ উদ্দিন হৃদয় পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, নবী, হান্নান ও মান্নান তার চাচাত ভাই। তারাসহ চট্টগ্রামের একজন বাসিন্দা ওই বাল্কহেডে ছিলেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি বালু নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপের উদ্দেশে তারা রওয়ানা দেয়। পথে বাল্কহেডটি ডুবে গিয়ে তারা চার জনই নিখোঁজ হন। অন্য বাল্কহেডের শ্রমিকদের মাধ্যমে ঘটনাটি পরিবারের লোকজন জানতে পারে। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের খোঁজ নেয়া হয়। ঘটনার চার দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে মীরসরাই-সীতাকুন্ড এলাকার একটি খাল থেকে মান্নান ও নবীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জোয়ারের সঙ্গে সাগর থেকে তাদের মরদেহ খালটিতে ভেসে এসেছে। হান্নান এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি চলছে।