রামগড় স্থলবন্দরে যাত্রী পারাপার মার্চেই শুরু
দীর্ঘ অপেক্ষার পর বাংলাদেশের ১৫তম ও পার্বত্যাঞ্চলের প্রথম রামগড় স্থলবন্দর মৈত্রী সেতু-১ দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হচ্ছে চলতি মার্চ মাসেই।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে ভারতের উত্তর-পূর্বে অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী ইটানগর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার সাব্রুমে স্থলবন্দরটির আইসিপি বা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রামগড় স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সরওয়ার আলম বলেন, ‘ভারতের সাব্রুম আইসিপি সেন্টার উদ্বোধন হয়েছে। ফলে পূর্ব সিদ্বান্ত অনুযায়ী চলতি মার্চেই যাত্রী পারাপার শুরু হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রান্তে যাত্রী পারাপারে আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। ভারত যখনই বলবে তখন থেকে যাত্রীরা ভিসা সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবেন।’
এদিকে রামগড়-সাব্রুম ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট উদ্বোধন উপলক্ষে ত্রিপুরার সাব্রুম ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় শনিবার। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, রাজ্যের মন্ত্রিসভার সদস্য সুশান্ত চৌধুরী, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা, ভারতের স্থলবন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্রসহ রাজ্যের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বক্তব্যে ভারতের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র বলেন, ‘মৈত্রী সেতু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগের নতুন পথের সূচনা করবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেতু হয়ে উঠবে। কার্গো ও ট্রান্সশিপমেন্ট ছাড়াও সাব্রুম আইসিপি দুই দেশের যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা করবে। এই সেতু সম্পূর্ণ চালু হলে তা ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক অবস্থা এবং উভয় দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পক্ষে বিশেষভাবে সহায়ক হয়ে উঠবে।’
জানা গেছে , চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটার দূরত্বের এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে মাত্র ৩ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য যেতে পারবে ভারতে। দেশটির সেভেন সিস্টার্স খ্যাত উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে এই বন্দর দিয়ে। একই সঙ্গে রামগড় স্থলবন্দর ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পণ্য পরিবহন করতে পারবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। বাড়বে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। বিকশিত হবে পাহাড়ের অর্থনীতি।