চান্দগাঁওয়ে স্থাপিত হচ্ছে টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট
চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর চান্দগাঁওয়ে তৈরি হচ্ছে একটি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট। মূলত দেশে-বিদেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে উদ্যোক্তা সংস্থা এ উদ্যোগ নিয়েছে। ইনস্টিটিউটটি চালু হলে প্রাথমিক পর্যায়ে কমপক্ষে ১৩টি ট্রেডে দীর্ঘ ও স্বল্প মেয়াদী কোর্স সম্পন্ন করা হবে।
একইসাথে এসএসসি ভোকেশনাল, ৬ মাসের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, ইংরেজি, আরবি, চায়না, কোরিয়ানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভাষার উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডস্থ জাফর আলী খান চৌধুরী সড়কে ‘আইডিএফ- ড. হারুন মকবুল আলী খান টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট’ নামে এ কারিগরি ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে কারিগরি ইনস্টিটিউটের জন্য ৮০ শতক জমিদান করেছেন চান্দগাঁও নিবাসী প্রফেসর ড. হারুন অর রশীদ খান। তিনি জাফর আলী খান চৌধুরী বাড়ির একজন কৃতি সন্তান। মূলত কারিগরি ইনস্টিটিউটটি তৈরি করবে ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ)। বেসরকারি সংস্থাটি এ নিয়ে যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সংশিষ্ট সূত্র জানায়, চালু হলে এ ইনস্টিটিউটে অটোমোটিভ, বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স, সিভিল কনস্ট্রাকশন, কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি, ড্রেস মেকিং, ডাইং, প্রিন্টিং এন্ড ফিনিংস, ইলেকট্রিক্যাল মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কস, ফিস কালচার এন্ড বিড্রিং, ফুড প্রসেসিং এন্ড প্রিজারভেশন, জেনারেল মেকানিক্স, জেনারেল ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি ট্রেডে শিক্ষার্থীদের কোর্সে পড়ার সুযোগ থাকবে। অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পাঠদানের অনুমতির পর আগামী বছর শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইডিএফের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অধ্যাপক শহীদুল আমিন চৌধুরী দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, কারিগরি ইনস্টিটিউটটি বাস্তবায়ন করবে আইডিএফ। এ ইনস্টিটিউটের জন্য ৮০ শতক জমিদান করেছেন চান্দগাঁও নিবাসী প্রফেসর ড. হারুন অর রশীদ খান। ইতোমধ্যে জমি রেজিস্ট্রি হয়ে গেছে। গত ৯ মার্চ প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আবদুচ ছালাম এমপি।’
কারিগরি ইনস্টিটিউট চালু প্রসঙ্গে আইডিএফ’র নির্বাহী পরিচালক জহিরুল আলম দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে আইডিএফ এ কারিগরি ইনস্টিটিউট স্থাপন করছে। এটি চালু হলে দেশে ছাড়াও বিদেশে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণে সুযোগ তৈরি হবে। এটিকে ভবিষ্যতে ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট এবং ধারবাহিকভাবে আরো বড় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের স্বপ্ন রয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণসহ আনুষাঙ্গিক কাজ শেষে আগামী বছর ২০২৫ সালের শুরুতে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির ইচ্ছা রয়েছে। এ জন্য আমাদের সকল কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।’