দেশজুড়ে

ভৈরবে ট্রলার ডুবিতে স্ত্রী-দুই সন্তানসহ পুলিশ সদস্য নিখোঁজ

ভৈরবে ট্রলার ডুবিতে ছয় জন নিখোঁজ রয়েছেন। এর মধ্যে ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামে। উদ্ধার কাজ চলমান থাকলেও এখন পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে তার পরিবারে চলছে আহাজারি।

ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে সোহেল রানা ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পান। ট্রলার ডুবির খবরে সোহেলের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মধ্যে আহাজারি চলছে।

দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ১নং ইউনিয়ন সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেলের বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা ভৈরবে ছুটে যান। ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যদের না পেয়ে তারাও বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে ভৈরব সেতু এলাকা মেঘনা নদীর পাড় থেকে একটি নৌকা নিয়ে ১৬ জন যাত্রী আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরবে ফেরার পথে মাঝ নদীতে নৌকাটিকে একটি বাল্কহেড ধাক্কা দেয়। এতে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও নৌ পুলিশ ৯/১০ জনকে উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে এক নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং তোফাজ্জল হক (২২) নামে এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় রেফার্ড করেন। এ সময় রুবা নামে এক ছাত্রী ও পুলিশ কনস্টেবলের ভাগিনাসহ কয়েকজন সাঁতরে পাড়ে উঠলেও বাকিরা পানিতে ডুবে নিখোঁজ রয়েছেন।

ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি সাজু মিয়া জানান, ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ নদীতে ট্রলারটি উদ্ধারের চেষ্টা করে। কিন্তু অন্ধকার থাকায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *