ঈদবাজারে নারীর নতুন ভুবন ‘কাঞ্জিলাল’
চট্টগ্রাম: লিফট থেকে নামতেই চোখে পড়বে বিশাল শাড়ির ভুবন। এ যেন প্লেনের টিকিট, ভিসা, ভ্রমণ খরচ ছাড়াই কলকাতার ঈদবাজারে চলে আসা।
সবাই ব্যস্ত নিত্যনতুন ডিজাইনের শাড়ির খোঁজে। সাধ ও সাধ্যের সীমারেখায় নিজের ও স্বজনদের কেনাকাটা শেষ করছেন নিরিবিলি পরিবেশে।
নগরের ঈদবাজারে ফ্যাশন সচেতন নারীদের নতুন ভুবন ‘আদি মোহিনী মোহন কাঞ্জিলাল’। দেশের অন্যতম বড় থান কাপড়ের পাইকারি বিপণিকেন্দ্র টেরিবাজারেই ভারতের বিখ্যাত শাড়ির ব্রান্ডটির বিশাল শো-রুম। গত বছরের জুলাই-আগস্টে সপ্তাহব্যাপী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আলো ছড়িয়েছিলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, তমা মির্জা, প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার স্বর্ণালী কাঞ্জিলাল, আশিষ কাঞ্জিলাল এবং কাঞ্জিলালের বাংলাদেশ ফ্রাঞ্চাইজি শিবলী মাহমুদ সুমন। এটি বাংলাদেশে তাদের দ্বিতীয় শাখা।
লালদীঘির উত্তরপাড়ে ফয়েজ আলী সিটি সেন্টারের তৃতীয় ও চতুর্থ তলাজুড়ে আদি মোহিনী মোহন কাঞ্জিলালের শো-রুম। এখানে আছে নারীর পছন্দের শাড়ির বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের কালেকশন। কুর্তি, লেহেঙ্গা, থ্রিপিস, গাউন, গহনা, ইনার ওয়্যার, ব্যাগ ইত্যাদিও পাওয়া যাচ্ছে।
কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী মোরশেদা আকতার বলেন, প্রতিবছর ঈদে ননদ, ভাবি, মা, শাশুড়িসহ স্বজনদের জন্য অনেক শাড়ি কিনতে হয়। আদি মোহিনী মোহন কাঞ্জিলালের শাড়ির আলাদা কদর আছে নারী-হৃদয়ে। তাই এখানে আসা।
বিক্রয়কর্মী মোহাম্মদ সবুজ বলেন, শাড়ির মধ্যে গাদোয়াল সিকো ১১ থেকে ২২ হাজার, পিওর গাদোয়াল ২৫-৪০ হাজার, দিল্লি বুটিকস ৫-২২ হাজার, ইতকাত ২ হাজার ৯৯০-২২ হাজার, বোমকাই ১ হাজার ৬৫০, অপেরা কাতান সাড়ে তিন থেকে ২০ হাজার, কাঞ্জিবরণ ২ হাজার ২৫০ থেকে ৩৫ হাজার, ইন্ডিয়ান জামদানি সাড়ে তিন থেকে পাঁচ হাজার, কাশ্মীরি সিল্ক ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার, হ্যান্ডলুম শাড়ি পিওর কটন সাড়ে তিন থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার, খাড্ডি শাড়ি ৬ থেকে ২২ হাজার, পিওর কাঞ্জিবরণ ১৮ থেকে ৪০, বেনারসি ৮ থেকে ৪৫ হাজার, হাতের কাজ করা বিয়ের শাড়ি ১২ থেকে ৩৫ হাজার, কোটা শাড়ি ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা। এর বাইরে নিত্যনতুন ডিজাইনের শাড়ি আসছে শো-রুমে।