কক্সবাজারচট্টগ্রাম

শতবর্ষী দিঘীর পাড় কেটে আশ্রয়ণ প্রকল্প

কক্সবাজারের মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নে অসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের জন্য ইউনিয়নের নোনাছড়ি গ্রামে অবস্থিত শতবর্ষী পুরানো দিঘীর পাড় কেটে ফেলা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে এলাকাবাসীরা মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন। এরপরও কাজ বন্ধ না করার অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এলাকাবাসীর দাবি— একশো বছরের পুরনো এই দিঘীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পুরো একটি গ্রাম। গ্রামের লোকজন মাছ চাষের পাশাপাশি দৈনন্দিন কাজের জন্য দিঘীটি ব্যবহার করে। সেই দিঘীর তিনটি পাড় ভেঙ্গে সেখানে আশ্রয় কেন্দ্রের ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)।

জানা গেছে, ২ দশমিক ৫৭ একর জমির উপর অবস্থিত এ শতবর্ষী দিঘী। দিঘীর কিছু অংশ ও তার পাশের মাঠসহ মোট ১ দশমিক ৫ একর জমিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর প্রস্তাবনা পাঠান তৎকালীন ইউএনও মাহফুজুর রহমান। যেখানে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে।

অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান সিদ্দিকী ও গোলাম নুসরাত জানান, শতবর্ষী দিঘী ও তৎসংলগ্ন খেলার মাঠ রক্ষায় এলাকার শত শত নারী-পুরুষ মানববন্ধন করেছেন। এরপরও দিঘীর পাড় রক্ষা করা যাচ্ছে না। দিঘীর পাড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ না করার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এরপরও কাজ বন্ধ করছে না মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিকি মার্মা বলেন, দিঘীর পাড়ে গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ৩০টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া দিঘীর কিছু অংশ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জন্য প্রস্তাবিত হয়েছে। সেটি বাদ দিয়ে অন্য অংশে (জমি) আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো নির্মাণের কাজ চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *