ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী হাসপাতালে
লক্ষ্মীপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে জোসনা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। একই সময় নিহতের স্বামী আলাউদ্দিনকেও (৩৬) কুপিয়ে আহত করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি ঢাকা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গেয়ামের মেঘনা বাজার এলাকার ভাড়া বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত আলাউদ্দিন মেঘনা বাজার এলাকার মৃত শাহে আলমের ছেলে ও পেশায় সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী। নিহত জোসনা তার স্ত্রী।
একই এলাকার আবদুর রবের ছেলে সিরাজ, মাহফুজ ও নিজাম হামলা করেছেন অভিযোগ উঠেছে। তারা সম্পর্কে আলাউদ্দিনের খালাতো ভাই।
আহত আলাউদ্দিনের মামা নুরুল হকসহ স্বজনরা বলেন, আলাউদ্দিনের বসতঘরের পাশে একটি পুকুর রয়েছে। ওই পুকুর থেকে রমজান মাসে সিরাজ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে। গত সপ্তাহে একই পুকুর থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য সিরাজ সেচ পাম্প বসায়। এতে বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় আলাউদ্দিন বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয়ের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঈদের ছুটিতে সিরাজের ভাই পারভেজ ও নিজাম বাড়িতে আসে। পূর্বের হাতাহাতির ঘটনার জের ধরেই দুই ভাইসহ প্রায় ১৪ জনকে নিয়ে মধ্যরাতে আলাউদ্দিনের বসতঘরে হামলা চালায়। এ সময় তারা দা দিয়ে আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রী জোসনাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। জোসনাকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত আলাউদ্দিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় কারো বক্তব্য জানা যায়নি।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. একে আজাদ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই জোসনা মারা গেছেন। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। আলাউদ্দিনের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। দুইজনের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি। ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।