আন্তর্জাতিক

শিক্ষকের পাঁজর ও হাত ভেঙে দিলো মার্কিন পুলিশ

আমেরিকাতে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ দমনে পুলিশের নিষ্ঠুরতার নানা চিত্র উঠে আসতে শুরু করেছে। বিক্ষোভ দমনের সময় এক অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করার সময় তার পাঁজরের ৯টি এবং একটি হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমে আসতেই দেশটি জুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা।

ভুক্তভোগী শিক্ষক নিজেই, এক বিবৃতিতে পুলিশের এমন নিষ্ঠুরতার কথা জানিয়েছেন। এছাড়া, ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার সেটি ভাইরাল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশের হাতে নিগৃত ওই শিক্ষকের নাম স্টিভ তামারি। সাউদার্ন ইলিনয়েস ইউনিভার্সিটি এডওয়ার্ডসভিলের ইতিহাসের অধ্যাপক তিনি। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক এক গবেষক ও বিশ্লেষকও তিনি। ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভের প্রতি তিনি শুরু থেকেই সমর্থন জানিয়ে আসছিলেন।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, গেলো শনিবার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্টিভ তামারি দৃশ্যত বিক্ষোভকারীদের ছবি তোলার বা ভিডিও ধারণের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেপরোয়াভাবে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান তাঁকে। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হয়ে পড়েন।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গ্রেপ্তার হবার সময় অধ্যাপক তামারি মাটিতে পড়ে গেলে পুলিশের এক সদস্য তাকে হাঁটু দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। পরে দু’হাত পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো হয়। এরপর কয়েকজন পুলিশ তাঁর নিস্তেজ হয়ে পড়া শরীর টেনেহিঁচড়ে একটি ভ্যানের কাছে নিয়ে মাটিতে উপুড় করে ছুঁড়ে ফেলে।

বিক্ষোভের সশয় এই অধ্যাপকের স্ত্রী সান্দ্রা তামারিকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এনিয়ে সামাজিক মাধ্যম এক্সে বৃহস্পতিবার দেয়া এক পোস্টে সান্দ্রা লেখেন, স্টিভকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে তাঁর ব্যথা আছে ও ভাঙা হাতে অস্ত্রোপচার করতে হবে। আর ঘটনার সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *