জিম্বাবুয়েকে ৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ
মিরপুরে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টিটোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দেয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং খুব একটা খারাপ হয়নি। তবে স্বাগতিক বোলাররাই বরং উপহার দিয়েছেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং। তাতে জিম্বাবুয়ে লক্ষ্যের খুব কাছে গিয়ে থেমেছে আবারও। তাসকিন-সাকিব-মুস্তাফিজদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সুবাদে কল্যাণে ১৩৮ রানে শেষ হয়েছে সফরকারীদের ইনিংস। চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৫ রানে।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস হেরে আগে ব্যাট করতে হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। লিটন দাস ধারাবাহিক বাজে ফর্মের কারণে একাদশ থেকে ছিটকে গেছেন। তার জায়গা নেন সদ্য হাঁটুর চোট থেকে সেরে ওঠা সৌম্য সরকার।
তানজিদ তামিমের সঙ্গে সৌম্যর উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাটিংয়ে সুদিন ফেরার স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বোলারদের ছাতু বানিয়ে যে ১১ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১০০ রান জমা করেন তারা। লুক জংওয়ের বল কাভারের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে পয়েন্টে জোনাথান ক্যাম্পবেলের ক্যাচ হন তানজিদ। ফেরার আগে ৩৭ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করেন।
একই বোলারের বল বোল্ড হয়ে ফেরা সৌম্যর রান ৩৪ বলে ৪১। বাংলাদেশ যখন বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখছে তখনই আচমকা যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। একই ওভারে দুই ওপেনারকে হারানোর পর শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল।
আগের দুই ম্যাচের ম্যাচসেরা তাওহিদ হৃদয় ফেরেন ১২ রানে। ৩০০ দিন পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফেরা সাকিব করেন ১ রান। অধিনায়ক শান্তর ব্যাটে তো রানখরা চলছেই, ৭ বলে ২ রান করে সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকেও।
বিনা উইকেটে ১০১ রান করা দলটা ১৪৩ রানে যেতেই সব উইকেট হারিয়ে বসে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার দিনে ৩ উইকেট নেন পেসার লুক জংওয়ে।
কিন্তু ১৪৪ রানের সহজ লক্ষ্য পেয়েও জিম্বাবুয়ে চোখে সর্ষেফুল দেখেছে। কোনো রান তোলার আগেই হারিয়েছে ওপেনার ব্রায়ান বেনেটকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে। জোনাথান ক্যাম্পবেল বাদে দায়িত্ব নিয়ে খেলার যেন আগ্রহই ছিল না অন্য কোনো ব্যাটারের। শেষ পর্যন্ত দলীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান করে ক্যাম্পবেল নিজেও একাকী লড়াইয়ে ক্ষান্ত দেন। শেষদিকে অবশ্য ৮ বলে ১৯* রানের ক্যামিও ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। তবে রোমাঞ্চকর শেষ ওভারে সাকিব দুই উইকেট তুলে নিলে ১৩৮ রানে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পান এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা সাকিব আল হাসান, তিন উইকেট ঝুলিতে পোরেন মুস্তাফিজ।
আগামী ১২ মে একই মাঠে সকাল ১০টায় পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।