রেলস্টেশনে স্বস্তির যন্ত্রে ‘মেলা অস্বস্তি’
দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রেনের টিকিট কাটার ভোগান্তি থেকে যাত্রীদের মুক্তি দিতে বসানো দুটি ভেন্ডিং মেশিনই অচল পড়ে আছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে। উদ্বোধনের পরপরই টিকিট কাটার সময়ে যাত্রীদের গোপনীয় তথ্য দেখা যাওয়া, নগদ টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে না পারা, অতিরিক্ত টাকা কাটার নানা অভিযোগে— অস্বস্তিতে পড়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ফলে দুদিন যেতে না যেতেই দড়ি ঘেরা করে রাখা হয়েছে মেশিন দুটি। যাত্রীদের দ্রুত টিকিট কাটা নিশ্চিত করতে গত ২৩ এপ্রিল মেশিন দুটি চালু করা হয়।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, স্টেশনের প্রবেশমুখে টিকিট কাউন্টারের পাশেই পড়ে আছে দুটি ভেন্ডিং মেশিন। অচল মেশিন সুরক্ষিত রাখতে চারিদিকে দড়ি ঘেরা করা হয়েছে।
স্টেশন চত্বরে থাকা একজন টিটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ভেন্ডিং মেশিন বসানোর পর সাধারণ মানুষের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। তবে অতিরিক্ত ২০ টাকা চার্জ, গোপনীয় তথ্য দেখা যাওয়াসহ নানা সমস্যার কারণে কিছুটা বিপত্তি ঘটেছে। এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জানার পরই ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশে মেশিন বন্ধ রাখা হয়েছে।’
ঢাকাগামী যাত্রী মাকসুদুল হক বলেন, ‘নিজেদের টিকিট কাটতে ভেন্ডিং মেশিন বসানোর খবর শুনেছিলাম। অতিরিক্ত চার্জ আদায়, গোপনীয় ত্যথ দেখা যাওয়ার নানা সমস্যার কথাও শুনেছি। এখন এসে দেখিছি মেশিন দুটি অচল পড়ে আছে।’
সাইকা নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই এসব মেশিন বসানো প্রয়োজন ছিল। শুরুতেই গলদ দেখে বিপাকে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে রেলওয়ের এ ধরনের সেবায় অনীহা দেখাবেন।’
রেলওয়ের দাবি, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্টেশনে বসানো ভেন্ডিং মেশিন পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালনা করা হয়েছে। দুদিনেই ‘উল্লেখযোগ্য’ সমস্যা ধরা পড়েছে। এসব সমাধানে কাজ চলছে।
রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘যাত্রীদের দ্রুত সহজে সেবা দিতে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে ১৫টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য সমস্যা ধরা পড়েছে, যেগুলো সমাধানে কাজ চলছে। যার কারণে আপাতত চট্টগ্রামসহ দেশের ৯টি স্টেশনে বসানো ১৫টি ভেন্ডিং মেশিন বন্ধ রাখা হয়েছে। কাজ শেষ করে শিগগিরই আবারো কার্যক্রম শুরু হবে।’