জাতীয়

দেশে চালের ঘাটতি নেই: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ জানিয়েছেন, দেশে এখন চালের ঘাটতি নেই, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দিয়েই চাহিদা মেটানো যাচ্ছে।

গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে চালের উৎপাদন চার গুণেরও বেশি বেড়েছে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে চলমান ১০ম ওয়ার্ল্ড ওয়াটার ফোরামের ‘গ্রহ ও মানুষের জন্য ধান’ শীর্ষক মিনিস্টিরিয়াল সেশনে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ অর্জন না হলে আমাদের লাখ লাখ মানুষ খাদ্য সংকটে পড়তো, খাদ্য শরণার্থী হয়ে যেত এবং বিশ্বব্যাপী সংকট তৈরি হতো। কিন্তু বাস্তবে এ অর্জনের ফলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া ও খাওয়ানোর সাহস দেখিয়েছেন।

বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে এ সেশনের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কৃষক ও কৃষির কল্যাণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। কৃষিতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ানো, গবেষণা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো, গবেষণা অবকাঠামোর উন্নয়ন, গবেষণার সুযোগ বাড়ানোসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা করেছেন। এসব বহুমুখী উদ্যোগ বিশ্বে বাংলাদেশকে কৃষিপণ্য উৎপাদনের রোল মডেলে পরিণত করেছে। বিশেষ করে চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা বজায় রাখতে দারুণভাবে সাহায্য করেছে।

তিনি আরো বলেন, সবার সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি সব দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

এ সেশনে ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্যারোলিন টার্ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। চীনের পানিসম্পদমন্ত্রী লি গিউইং, ইন্দোনেশিয়ার কৃষিমন্ত্রী আন্দি এমরান সুলাইমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশমন্ত্রী আমনা বিনতে আব্দুল্লাহ আল দাহাক প্রমুখ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন। বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ম্যানেজার মাইকেল জে ওয়েবস্টার অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন।

এ সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তারিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর ও যুগ্মসচিব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা এ সেশনে তাদের দেশের অর্জিত অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন এবং সবাই মিলে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *