চট্টগ্রাম

বঙ্গবন্ধু টানেল টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি

সংযোগ সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় বঙ্গবন্ধু টানেল চালুর একমাসে যানবাহন চলাচল ছুঁতে পারেনি লক্ষ্যমাত্রা। কর্মদিবসে যে সংখ্যা এখন প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার, ছুটির দিনে তা পৌঁছায় ১০ থেকে ১২ হাজারে। যার বেশিরভাগই দর্শনার্থীর গাড়ি।

টানেল ঘিরে এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়নের যে কর্মযজ্ঞের কথা বলা হয়েছিল, তা দ্রুত শুরু করার দাবি স্থানীয়দের। এজন্য পরিকল্পিত নগরায়ন, শিল্পায়ন ও যোগাযোগে মনোযোগ দেয়ার তাগিদ বিশ্লেষকদের।

গত ২৮ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু টানেলের দুয়ার খোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

সেতু বিভাগের পূর্বাভাস ছিল, চালুর পর প্রথমমাসে দিনে টানেল পার হবে ১৭ হাজার ৩শ’ গাড়ি। তবে গেল এক মাসে সে সংখ্যা ছুঁতে না পারলেও এখন পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ হাজারে উঠেছে। যদিও তা ছুটির দিনে। কর্মদিবসে পারাপার হয় ৫ থেকে ৭ হাজার।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের টোল সুপারভাইজার মো. আল মামুন বলেন, টোল চালু হওয়ার পর থেকে গাড়ির চাপ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। শুক্রবারে ১০ থেকে ১২ হাজার গাড়ি চলাচল করে। অন্যান্য দিন ৭ থেকে ৮ হাজার গাড়ি চলাচল করে।

৩ দশমিক কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু টানেলের এখন সরাসরি সুফল পাচ্ছে আনোয়ারাসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ। তাদের যাতায়াত হয়েছে সহজ। তবে পুরোপুরি সুফল পেতে অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ বাড়ানোর তাগিদ স্থানীয়দের।

নগরবিদ স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সংযোগ সড়ক দ্রুত সময়ের মধ্যে চার লেন বা ছয় লেনে উন্নীত করা দরকার। একইসঙ্গে আগামীর বাংলাদেশকে মাথায় রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামে পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা, পরিকল্পিত শিল্পাঞ্চল এবং পরিকল্পিত পর্যটন নগরী গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার। তবেই পণ্যবাহী যানবাহনের পাশাপাশি অন্যান্য সব যানবাহন ব্যবহারে প্রসারিত হবে।

শুরুতে কয়েকটি ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটায়, গতি নিয়ন্ত্রক ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগসহ নিরাপত্তা জোরদার করে কর্তৃপক্ষ। এখন চলছে দুপাড়ে পুলিশ আর ফায়ার স্টেশন স্থাপনের কাজ। যা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে জানুয়ারি নাগাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *