রাজনীতি

ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় মানুষের পাশে ছাত্রলীগ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহীদের রক্তস্নাত সংগঠন, বাংলার ছাত্রসমাজের আস্থার ঠিকানা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে।

রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, অতীতে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়, শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে, অগ্নিকাণ্ড বা ভবন ধসে উদ্ধার কাজ চালিয়ে, মহামারি করোনায় অসহায়-অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, কৃষকের ধান কেটে নিরাপদে ঘরে পৌঁছে দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সমাজ ও মানুষের প্রতি তার কর্তব্য নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছে।

সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রিমাল রূপ নিয়েছে, যা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বা সুপার সাইক্লোনে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি দেশের পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করছে। আজ গভীর রাতে বা সোমবার (২৭ মে) ভোরের মধ্যে সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ উপকূলবর্তী এলাকায় তীব্রভাবে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আঘাত হানার সময়ে কেন্দ্রের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার হতে পারে। এছাড়াও এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশব্যাপী অতিভারী বৃষ্টি, প্রবল দুর্যোগ, বজ্রবৃষ্টি এবং সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ উপকূলীয় অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে। প্রবল বৃষ্টির ফলে ভূমিধস হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে, সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে, মাইকিং করে, শুকনো ও রান্না করা খাবার, খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করে, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ঘরবাড়ি স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সংস্কার করে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে এবং স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদান করে পাশে থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়।

বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অগ্রদূত, পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ বৈশ্বিক পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ এ ভূষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বৈশ্বিক রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। দুর্যোগে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণহানি কমিয়ে আনা, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, দুর্যোগে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, বজ্রপাত নিরোধক কর্মসূচি, গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ, সময়োপযোগী আইন প্রণয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ প্রণয়ন ইত্যাদি কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে দুর্যোগসহনশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলেছে। এর ফলে জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ‘জনসেবা পদক’ লাভ করেছে।

রাষ্ট্র গঠন আন্দোলন থেকে শুরু করে শিক্ষার অধিকার এবং দেশমাতৃকার প্রতিটি প্রয়োজনে ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে গৌরবান্বিত ইতিহাস মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগের মাধ্যমে তা আরও মহিমান্বিত হবে, এটিই আমাদের সংকল্প বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *