কক্সবাজারচট্টগ্রাম

এলএনজি সরবরাহ নেমেছে অর্ধেকে

মহেশখালীর অদূরে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান সামিটের মালিকানাধীন এলএনজি টার্মিনাল দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে টার্মিনালটির দুটি ফ্লোটিং স্টোরেজ এন্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটের (এফএসআরইউ) একটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান দেশে আমদানি করা এলএনজি কার্গো মহেশখালীতে স্থাপন করা দুই ভাসমান টার্মিনাল দিয়েই খালাস করা হয়। এর একটি মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির ‘এক্সিলেন্স’। অন্যটি দেশীয় সামিট প্রাইভেটের মালিকানাধীন ‘সামিট’। এ দুই টার্মিনালের রিগ্যাসিফিকেশন ক্যাপাসিটি এখন দৈনিক ১ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটের কাছাকাছি।

তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় একটি ভাসমান পন্টুন এসে কক্সবাজারের মহেশখালীতে সামিটের এলএনজি টার্মিনালের এফএসআরইউতে আঘাত করে। এতে একটি এফএসআরইউর ব্যালাস্ট ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ওই টার্মিনাল দিয়ে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা দেওয়া হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সামিট জানায়- এলএনজি বিস্ফোরক প্রকৃতির পদার্থ হওয়ায় টার্মিনালটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে এফএসআরইউর গুরুত্ব বিবেচনায় এবং টার্মিনালের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালুর আগে সমস্যা সমাধানের জন্য সামিট পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিচ্ছে।

স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনাল প্রটোকল অনুযায়ী, একজন বিশেষজ্ঞ সার্ভেয়ার ক্ষতি নিরূপণ করবেন। তার প্রতিবেদন পাওয়ার পর সামিটের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। এ বিষয়ে আরপিজিসিএল ও পেট্রোবাংলার সঙ্গে সামিট কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

পেট্রোবাংলার পরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সামিটের টার্মিনালের একটি এফএসআরইউ দিয়ে গ্যাস সরবরাহ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। বাকিটি দিয়ে বর্তমানে দৈনিক ৫০০-৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। সংস্কার শেষে দ্রুতই এটি চালু করা হবে।

এদিকে দেশে সরবরাহ অর্ধেকে নেমে আসায় পুরোপুরি এলএনজি নির্ভর চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সংকট বেড়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- সামিটের টার্মিনালটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুই টার্মিনাল দিয়েই সরবরাহ শুরু হলে দেশে গ্যাস সংকট কমে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *