চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সুমন সাহার হত্যাকারী ৩ আসামী আটক

চট্টগ্রাম রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় সুপার মার্কেটে সুমন সাহা (৪৫) হত্যার ঘটনায় মফিজুর রহমান দুলু (৫৬) মোঃ মামুন (৩৮) ও নুর হোসেন রিটুইট (২৮) নামের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। ভোররাতে কোতোয়ালি থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, নিহত সুমন সাহা আসামি মফিজুর রহমান দুলুর ভাড়াকৃত বাসায় মাদক সেবন করতে যেতো। সেখানে সুমন মাদক সেবনরত অবস্থায় দুলুকে স্বর্ণ ক্রয়ের জন্য টেকনাফে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। বিষয়টি মামুন জানতে পেরে দুলুর মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেয় যে, দুলুকে মারার জন্য সুমন লোক ঠিক করেছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন লোক দিয়ে দুলুর রিয়াজউদ্দিন বাজারের অফিস রেকি করিয়েছে সুমন। এ বিষয়ে দুলুর মনে সন্দেহ ঢুকার পর গত ২৬ নভেম্বর রাতে সুমন দুলুর ভাড়াকৃত রুমে মাদক সেবন করতে গেলে দুলু সুমনকে আটক করে, মারার জন্য কাকে ঠিক করেছে এবং কেন বাসা রেকি করেছে তা বারবার সুমনের কাছে জিজ্ঞেস করলে সুমন কোনো জবাব না দেওয়ায় সুমনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মামুন ও নুর হাসান টিটুর সহায়তায় দুলু সুমনকে লোহার রড, প্লাস্টিকের পাইপ, লোহার প্লাস দিয়ে বেধড়ক মারধর করে তথ্য বের করার চেষ্টা করে দুলু।

আসামিরা তাতেও ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায়ে সুমনকে হাত পা বেঁধে উলঙ্গ করে এলোপাতাড়ি মারধর করলে এসময় সুমনের মৃত্যু হয়। এছাড়া সুমন নিহত হওয়ার আগে আসামি মফিজুর রহমান দুলু ও নিহত সুমন সাহা স্বর্ণ চোরাচালান এবং মাদক ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত ছিলো। এ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে টাকা লেনদেন হয়। লেনদেনের বিষয়ে তাদের বাকবিতন্ডাও হয়। হত্যার ঘটনায় নিহত সুমনের মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, এডিসি (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা, এসি কোতোয়ালি অতনু চক্রবর্ত্তী ও অফিসার ইনচার্জ এস এম ওবায়দুল হক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *