১২ এক্সপ্রেসওয়ে, ১০ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের লক্ষ্য
দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির লক্ষ্যে গত এক দশক ধরে যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে একের পর এক মেগাপ্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। নতুন করে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশে আরও ১২টি এক্সপ্রেসওয়ে ও দশটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ক্ষমতাসীনরা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন বক্তব্যে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন শুরু হয়। জাতীয় সংসদের এ অধিবেশনে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ অনুযায়ী বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্য নির্ধারণ হয়েছে। আধুনিক ও টেকসই মহাসড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সরকারের ১২টি এক্সপ্রেসওয়ে ও আরও দশটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সড়ক নিরাপত্তা বৃদ্ধি, ঢাকা মহানগরীতে যানজট নিরসনে দ্রুতগতির গণপরিবহন ব্যবস্থা (এমআরটি ও বিআরটি) প্রবর্তনসহ মোটরযান ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান আছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ব্যবস্থার আওতায় ঢাকা-জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভূলতা-মদনপুর প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত মহাসড়কের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বালিয়াপুর হতে নিমতলী-কেরানীগঞ্জ-ফতুল্লা-বন্দর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দু পর্যন্ত ৩৯ দশমিক ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।