পাকিস্তানে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস পালিত
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও গুরুত্বের সঙ্গে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার (০৭ জুন) ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু কর্নারে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা ঐতিহাসিক ৬ দফার আন্দোলনের পটভূমি ও গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সমাপনী বক্তব্যের শুরুতেই হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ৬ দফা প্রস্তাব পেশ করেন, যার মধ্যে নিহিত ছিল বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা। ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণার পর শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং তাকে বারবার গ্রেপ্তার করে।
তা সত্ত্বেও তিনি ৬ দফা দাবি থেকে পিছপা হননি। ৬ দফা কেবল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ নয়, সারা বিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস।
সব শেষে জাতির পিতা ও ঐতিহাসিক ৬ দফার আন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।