‘শালা নাটক করে মাটিতে পড়ে আছে,’ মনিরকে গুলির পর কাউসার
রাজধানীর বারিধারার ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটির দায়িত্ব থাকা পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল কে হত্যা করে একই দায়িত্বে থাকা আরেক পুলিশ কনস্টেবল কাউসার। এছাড়া এ ঘটনায় দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে।
যে দুজন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন সাইকেল আরোহী এবং অপরজন জাপান দূতাবাসের ড্রাইভার।
জানা গেছে, মনিরুলকে গুলি করে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে এসে দাঁড়ায় কাউসার। তখন প্রধান ফটকের দুই থেকে তিনজন নিরাপত্তা রক্ষী ছিল। তারা গুলি শব্দ শুনতে পেলেও তখন ধারণা করতে পারিনি যে কাউসার মনিরুলকে গুলি করে এসেছে। তখন কাউসারকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের নিরাপত্তা রক্ষীরা জিজ্ঞেস করেন মনিরুল কেন রাস্তায় পড়ে রয়েছে। তখন কাউসার তাকে উত্তরে বলে, ‘শালা নাটক করতাছে এমনি রাস্তায় পড়ে আছে।’
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ফিলিস্তিন দূতাবাসের এক নিরাপত্তা রক্ষী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরা দূতাবাসের ভিতরে ছিলাম। হঠাৎ করে রাত ১১ টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি শব্দ শুনে আমরা বাহিরে আসি। বাইরে আসার পর কাউসার কে দেখি ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আর একটু দূরেই পড়ে রয়েছে মনিরুলের মরদেহ। তখন আমরা কাউসারকে জিজ্ঞেস করি কি হয়েছে। তখন সে বলে শালা (মনিরুল) নাটক করতেছে এমনি মাটিতে পড়ে রয়েছে। এই কথা বলে কাউসার দূতাবাসের বিপরীত পাশে রোডে চলে যায় । এরই মধ্যে সবাই বুঝে উঠে যে কাউসার মনিরুলকে গুলি করেছে। এর পরপরই ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা কাউসারকে আটক করে।’
বারিধারা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার
এদিকে এ ঘটনার জেরে ডিপ্লোমেটিক জোনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুরো এলাকা নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ছেয়ে ফেলেছে পুলিশ। বারিধারা এলাকায় এই মুহূর্তে যে কেউ প্রবেশ করতে গেলে তল্লাশি করা হচ্ছে।
রাত ১:০০ টার দিকে ঘটনাস্থলে সরজমিনে দেখা যায়, বারিধারায় অবস্থিত ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ,সোয়াট সহ থানা পুলিশের একাধিক দল মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে নিহত পুলিশ সদস্যের মরদেহও পড়ে থাকতে দেখা গেছে।