তিন প্রজন্মের তেঁতুল গাছের গুঁড়ির ব্যবসা
পঞ্চাশোর্ধ নুরুল হক। কাজে লাগে না এমন ছোট ছোট কাঠের গুঁড়ি সংগ্রহ করেন। এরপর সেগুলো মাংস কাটার উপযোগী করে নির্দিষ্ট মাপে টুকরা করে রাখেন। কোরবানি ঈদ ঘিরে শহরজুড়ে বিক্রি করেন এসব। পশুর মাংস কাটার কাজে এই কাঠের টুকরা ব্যবহার করেন কসাইসহ কোরবানিদাতারা। এই কাঠের টুকরোকে ‘খাটিয়া’ বলা হলেও এলাকাভেদে আঞ্চলিক ভাষায় নানা নামে পরিচিত এটি।
নুরুল হকের বাপ-দাদার ব্যবসা এটি। কোরবানির ঈদ ঘিরে প্রতিবছর গ্রাম থেকে চট্টগ্রাম শহরে আসেন মাংস কাটার কাঠের টুকরো বিক্রি করতে। এবারও নগরের দেওয়ানহাট মোড়ে দোকান নিয়ে বসেছেন তিনি।
বুধবার (১২ জুন) বিকেলে ব্যবসায়ী নুরুল হক বলেন, ‘এটা আমাদের বংশীয় ব্যবসা। আমার বাপ দাদারা এই ব্যবসা করেছে। সব গাছ দিয়ে এসব খাটিয়া তৈরি করা যায় না। খাটিয়া তৈরি করতে প্রয়োজন তেঁতুল গাছের। এ গাছ ছাড়া অন্য গাছ দিয়ে খাটিয়া তৈরি করলে মাংসের সাথে গাছের গুঁড়ি উঠে মাংসের মান নষ্ট হয়ে যায়। বিভিন্ন সমিল ঘুরে তেঁতুল কাঠ সংগ্রহ করে আমরা বিক্রি করি।’
নুরুল হক আরো বলেন, ‘এবার পাঁচ হাজার পিস খাটিয়া বানিয়েছি। দুই হাজার পিস পাইকারি বিক্রি করেছি ৩০০ টাকা করে। খুচরা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বিক্রি করি। তবে খুচরায় এখনো তেমন একটা বেচাবিক্রি নেই। গরু বিক্রি বাড়লে আমাদের খাটিয়া বিক্রিও বাড়বে।’