যেসব সবজির খোসা ফেলবেন না
প্রতিদিনের রান্নায় সবজি তো থাকেই। সবজির বিভিন্ন মুখরোচক পদ তৈরির আগে আমরা যে কাজটি করি তা হলো, এর খোসা ফেলে দিই। কিছু সবজি আছে যেগুলোর খোসা না ফেলে খাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে খোসা ছাড়িয়ে রান্না করাই ঠিক আছে। কিন্তু এমন এমন অনেক সবজি আছে যেগুলোর খোসাসহ খাওয়া যায় এবং এভাবে খাওয়াই উত্তম। আমরা হয়তো না জেনেই তার খোসা ফেলে রান্না করি। এতে বিভিন্ন পুষ্টি থেকে আমাদের শরীর বঞ্চিত হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন সবজিগুলোর খোসা ফেলবেন না-
১. কুমড়া
কুমড়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী একথা সবারই জানা। কারণ এতে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেলের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। তবে মজার বিষয় হলো কুমড়ার থেকেও কুমড়ার খোসায় আরও অনেক বেশি পুষ্টিগুণ লুকানো থাকে। এর খোসা শুধু শরীরের সুস্থতার জন্যই নয় বরং ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী। তাই কুমড়া রান্না করার সময় খোসা না ফেলেই রান্না করা উচিত। তবে এভাবে খেতে ভালো না লাগলে কুমড়ার খোসার ভর্তা বা ভাজি তৈরি করেও খেতে পারেন।
২. শসা
উপকারী সব সবজির মধ্যে অন্যতম হলো শসা। এটি আমাদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে দারুণ কার্যকরী। এই সবজিতে থাকে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য এবং ভিটামিন ও মিনারেল। এটি ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ কার্যকরী। শসার প্রায় নব্বই শতাংশই পানি। এটি নিয়মিত খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়, দূর হয় পানিশূন্যতাও। তবে শসা সব সময় খোসাসহ খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এভাবে খেলে বেশি উপকার পাবেন।
৩. মিষ্টি আলু
মিষ্টি স্বাদের মিষ্টি আলু খেতে কে না পছন্দ করেন! তবে এই আলু খাওয়ার সময় আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খোসা ফেলে দিই। কিন্তু আপনি জানেন কি, মিষ্টি আলুর খোসায়ও অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে। এর খোসায় থাকে ভিটামিন সি, ই, ফাইবার, বিটা ক্যারোটিনের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। এর ফলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তো বাড়েই, সেইসঙ্গে বৃদ্ধি পায় দৃষ্টিশক্তিও। আমাদের ত্বক কোমল করতে কাজ করে এটি।
৪. আলু
ভাতের পরে সম্ভবত আমরা আলুই বেশি খেয়ে থাকি। এই এক সবজি দিয়ে তৈরি করা যায় অসংখ্য পদের খাবার। এতে থাকে থাকে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট। তবে আলু খোসাসহ খেলেই মিলবে বেশি পুষ্টি। এতে থাকে আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ। রান্নার সময় তাই আলুর খোসা বাদ দেবেন না।
৫. মুলা
শীতকালীন সবজি মুলা আমাদের জন্য বেশ উপকারী। এই সবজিতে থাকে প্রচুর অ্যান্টি-অ্যাকসিডেন্ট। আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখার সঙ্গে সঙ্গে এই সবজি ত্বককে পরিষ্কার ও ডিটক্সিফাই করতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বক সংক্রান্ত রোগ থেকে মুক্তি দিতেও কাজ করে মুলা। তবে রান্না কিংবা সালাদ তৈরির সময় মুলার খোসা ফেলে দেবেন না। এভাবে খেলে বেশি উপকার পাবেন।