জাতীয়

সিগন্যাল ত্রুটিতে এ পর্যন্ত দুর্ঘটনা ঘটেনি: রেলমন্ত্রী

বাংলাদেশ রেলওয়েতে সিগন্যাল ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ রেলওয়েতে দুর্ঘটনা পরিহারে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন থামানোর লক্ষ্যে অটোমেটিক ট্রেন স্টপ বা প্রটেকশন (এটিএস বা এটিপি) প্রযুক্তি বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য এম আবদুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে রেলপথমন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। বৃহস্পতিবারের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের সমগ্র রেলপথকে ডাবল লাইনে রূপান্তর, দেশের সব জেলায় রেলপথের সংযোগ স্থাপন, ধারাবাহিকভাবে সব রেলপথের সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং উন্নত মানের ইঞ্জিন ও কোচ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলছে।

আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী বলেন, দেশে তিন হাজার ৯৩ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে এক হাজার ৬৭৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার মিটারগেজ এবং ৮৭৯ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ এবং ৫৩৩ দশমিক ৭০ ডুয়েলগজ রেললাইন আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মাস্টারপ্ল্যান যা ২০১৬ সাল থেকে ২০৪৫ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে রেললাইন একই গেজে (ইউনিগেজ) রূপান্তরের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে সব মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজ লাইনে রূপান্তর করা হবে এবং পরে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে। মাস্টারপ্ল্যানে এ বিষয়ে ১৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা ২০৪৫ সালের মধ্যে পর্যাপ্ত অর্থায়ন প্রাপ্তি সাপেক্ষে সম্পন্ন করা বলে আশা করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *