চট্টগ্রামসীতাকুন্ড

সাপ দেখলে বা কামড় দিলে করণীয় জানলো শিক্ষার্থীরা

‘আতঙ্ক নয় সতর্ক হই’ স্লোগানকে সামনে রেখে সীতাকুণ্ডে শুরু হয়েছে ‘সাপ দেখলে করণীয় ও সাপে কাটা পরবর্তী করণীয়’ নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা। যুব সংগঠন আলোকিত যুব সংঘ মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি হাতে নিয়েছে। কর্মশালার প্রথম দিন সৈয়দপুর ইউনিয়নের জাফরনগর অপর্ণাচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিটি সেকশনের ১০ জন করে মোট ১০০ জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নুর উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মামুন ভূঁইয়া, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মৃদুল কান্তি, সিনিয়র শিক্ষক বাবু বিভাস চক্রবর্তী, সীতাকুণ্ড মডার্ন হাসপাতালের পরিচালক ও মাতৃভূমি সামাজিক সংগঠনের সভাপতি সাইফুর রহমান শাকিল, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সাংবাদিকরা। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিদ্যালয়ের প্রতিটি শাখার ১০ জন করে মোট ১০০ জন শিক্ষার্থীকে সাপ দেখলে করণীয় ও সাপে কামড় দিলে পরবর্তী করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ডাক্তার মো. নুর উদ্দিন। আলোচনা পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

আলোকিত যুব সংঘকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডা. মো. নুর উদ্দিন বলেন, ‘চলমান দেশব্যাপী সাপে কামড় আতঙ্কের কারণে আমরা অনেক সময় অনেক ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলছি। সাপের আচরণ সমন্ধে জানলে আমরা সাপের থেকে নিরাপদ থাকতে পারবো। এ ছাড়াও সাপে কামড় পরবর্তীতে করণীয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকলে ওঝা-বৈদ্য ইত্যাদি কুসংস্কারে সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে অনেক রোগী বেঁচে যেতে পারে।’

আলোকিত যুব সংঘের চেয়ারম্যান শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সাপ দেখলে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হলে অনেক সময় সাপের কামড় থেকে আমরা বেঁচে যেতে পারি। এছাড়াও সাপে কামড়ালেও আতঙ্কিত হওয়া যাবে না এক্ষেত্রে সচেতন হয়ে দ্রুত চিকিৎসা নিলে অনেকের প্রাণ বেঁচে যেতে পারে। অপেক্ষাকৃত সর্প উপদ্রুত এলাকায় বিশেষ করে সৈয়দপুর, বারৈয়া ঢালা ও সীতাকুন্ড পৌরসভা এলাকার জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে মাসব্যাপী আমাদের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা চলমান থাকবে। বিদ্যালয়ের প্রতি সেকশনের ১০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তারা নিজ নিজ শ্রেণিকক্ষে অন্যদের কাছে অভিজ্ঞতা শেয়ার করবে। এভাবে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের অনেক মানুষকে আমরা সচেতন করতে পারব বলে আশা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *