জাতীয়

এই বাজেট মোটেও উচ্চাভিলাষী নয়: শেখ হাসিনা

এবারের বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই বাজেটকে মোটেও উচ্চাভিলাষী মনে করি না।

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা এ কথা বলেন।

এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শেখ হাসিনা বলেন, কেউ কেউ বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বলেছে। কেউ বলেছে ঘাটতি বাজেট। আবার কিছুক্ষণ আগে বিরোধীদলীয় নেতাও বললেন এই বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। … বলেছেন এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে কিনা। চ্যালেঞ্জ নেওয়াটাই তো আমাদের কাজ। আমরা তো চ্যালেঞ্জ নিয়েই চলতে চাই এবং চ্যালেঞ্জ নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।

টানা চারবারের সরকারপ্রধান বলেন, মোটেই এই বাজেটকে উচ্চাভিলাষী মনে করি না। হ্যাঁ, একটা লক্ষ্য আমরা স্থির করি, শতভাগ কখনো পূরণ হয় না, হওয়া সম্ভব নয়। তারপরও আমাদের সুনির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য থাকে যে এখানে আমরা যাবো। সেটা আমরা যেতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, কোথায় ৬২ হাজার কোটি টাকার বাজেট আর কোথায় ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট। আমরা তো এই জায়গায় আসতে পেরেছি। চ্যালেঞ্জ নিয়েছি বলেই না সম্ভব হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ইচ্ছাটা কী? দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। সেজন্যই তো উন্নয়নটা হয়। আমাদের উন্নয়নের ধারা যেন অব্যাহত থাকে সে লক্ষ্যেই আমরা এই বাজেট প্রণয়ন করেছি এবং উন্নয়ন বাজেট দিয়েছি। এখানে কমানোর কিছু নেই।

এই বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট আমরা দিয়েছি। বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনী ইশতেহার ভুলে যায় না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা একটা ইশতেহার দেই। এই ইশতেহার কিন্তু আমরা ভুলে যাই না। জাতিকে যে ওয়াদা দিয়ে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা ক্ষমতা এসেছি তা আমরা পালন করি।

এই বাজেট উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ারই পদক্ষেপ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা আমরা যে গড়ে তুলবো তারই পদক্ষেপ হিসেবে এই বাজেটে বিভিন্ন যে লক্ষ্য আমরা স্থির করেছি সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে। আমি মনে করি, এই বাজেটের মধ্য দিয়ে আগামী দিনে আমরা যে পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছি ২০৪১ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। সেই ধারাবাহিকতা আমাদের আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *