চট্টগ্রামলোহাগাড়া

লোহাগাড়ায় স্রোতে ভেঙে পড়ল সাঁকো, দুর্ভোগে ২০ হাজার মানুষ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় টংকাবতী খালের ওপর নির্মিত একটি কাঠের সাঁকো পানির স্রোতে ভেঙে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ। দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
 
প্রতি বছর বর্ষায় পানিতে ভেঙে যায় উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া এলাকার এই সেতুটি। নড়বড়ে কাঠের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই পার হচ্ছেন গ্রামবাসী।
 
শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে সরেজমিন দেখা গেছে, আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ ঘোনাপাড়া স্থানে টংকাবতী খালের ওপর নির্মিত কাঠের সাঁকোটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল পানির স্রোতে সাঁকোটি বাঁকা হয়ে গেছে।
 
খালের পশ্চিম পাশের ঘোনাপাড়া, রাহাত আলী চৌধুরীপাড়া, আমির খান চৌধুরীপাড়া, নাজির আলী মুন্সিপাড়া, মুহুরিপাড়া এবং খালের পূর্ব পাশে ব্রাহ্মণপাড়া, তালুকদার পাড়া, জলদাশপাড়া এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। এ ছাড়া খালের পশ্চিমপাড়ের শিক্ষার্থীদের সাঁকো পার হয়ে উত্তর আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর আমিরাবাদ এমবি উচ্চ বিদ্যালয় এবং বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে যেতে হয়।
 
ফলে যাওয়া-আসার সময় অভিভাবকরা থাকেন উদ্বিগ্ন। প্রয়োজনের তাগিদে স্থানীয়রা প্রতি বছর বাঁশ, কাঠ ও খুঁটি দিয়ে সাঁকোটি মেরামত করে কোনোরকম যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন। বছরের পর বছর মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও আজও সুনজর পড়েনি কর্তৃপক্ষের।
 
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইসমাইল বলেন, চলতি বর্ষায় পানির স্রোতে কাঠের সাঁকোটি হেলে পড়েছে। যে কোন মুহুর্তে কাঠের সাঁকোটি ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এলাকার মানুষের যাতায়াতের সুবিধা ও প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে চালতি বর্ষা মৌসুমে মানুষের চলাচলের জন্য সাঁকোটি সংস্কার করা দাবি জানিয়েছেন তিনি।
 
এদিকে, শনিবার বিকেলে এলাকাবাসী ও স্থানীয়দের দাবীর প্রেক্ষিতে কাঠের সাঁকোটি পরিদর্শন করতে যান নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম চৌধুরী।
 
এসময় তিনি বলেন, ‘আপাতত দুই পাশের মানুষের চলাচলের জন্য সাঁকোটি সংস্কার করা হবে। পরে সেখানে যাতে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা যায় সে ব্যাপারে এমপি মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমি ব্যবস্থা নেব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *