দেশজুড়ে

সাপের কামড়ে নারী ও শিশুর মৃত্যু

ঠাকুরগাঁওয়ের সাপের কামড়ে শিশু সুভাত্রা জুঁই (৯) ও শাহার বানু (৩৯) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৭ জুলাই ) সকালে সুভাত্রা ও দুপুরে শাহার বানুর মৃত্যু হয়। তবে তাদের কী সাপে কামড় দিয়েছে সেটি জানা যায়নি।

নিহত সুভাত্রা জুঁই বালিয়াডাঙ্গীতে উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের চৌটাকী গ্রামে আকালু চন্দ্রের মেয়ে ও চৌটাকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আর একই উপজেলার শাহার বানু পাড়িয়া ইউনিয়নের নিটলডোবা গ্রামের জয়নালের স্ত্রী।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির।

স্থানীয় জানায়, ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় সুভাত্রা জুঁইকে সাপে কামড় দেয়। ব্যথা অনুভব করায় সুভাত্রা তার মাকে জানায় কী যেন তাকে কামড় দিয়েছে। পরে তার মা দেখে একটি সাপ ঘর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। তবে কোন সাপ সেটি বলতে পারেননি। তাকে চিকিৎসার জন্য ওঝা ডেকে আনা হয়। পরে তার অবস্থা অবনতি হয়ে ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ সাপের কামড়ে আক্রান্ত হন শাহার বানু। বৃষ্টির কারণে শাহার বানুর কোনো চিকিৎসা করতে পারেনি তার পরিবার। রোববার সকালে শাহার বানুকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে রংপুর যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও ) মো. আহাদুজ্জামান সজিব জানান, সাপের কামড়ে আক্রান্ত নারী হাসপাতালে আসতে দেরি করায় সময়মত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ বলেন, “সাপে কাটার পরে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে না নিয়ে ওঝার কাছে চিকিৎসা করছে ভুক্তভোগীর পরিবারগুলো। মূলত এ কারণে সাপে কাটার পরে মৃত্যুঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সব সময় প্রচার করছে সাপে কাটা মাত্র নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *