দেবে যাচ্ছে সড়ক, দেখা দিয়েছে এক কিলোমিটারজুড়ে ফাটল
বোয়ালখালী-কানুনগোপাড়া সড়কের প্রায় ১ কিলোমিটার অংশ দেবে যাচ্ছে। দেখা দিয়েছে ফাটল।
সরজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির উপজেলার হাজির হাট ইকবাল পার্ক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর থেকে জোট পুকুর পাড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে বামপাশের একাংশ ১-২ ইঞ্চি দেবে গেছে। ফলে সড়কটির মাঝখানে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো সময় আরও দেবে গিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হতে পারে বলে আশংকা করছেন চালকরা।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গেছে, মইজ্জ্যারটেক-বোয়ালখালী- কানুনগোপাড়া-উদরবন্যা সড়কটি (জেড-১০৬৫) ৭৮ কোটি ৬৩ হাজার টাকা ব্যয়ে মজবুত এবং প্রশস্ত করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কে ৩টি সেতু, ২ শত কিলোমিটার প্যালাসাইডিং ও খালের ভাঙন রোধে ১৫০ মিটার রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়।
২০২০ সালের ২০ এপ্রিল এ কাজের উদ্বোধন করেছিলেন প্রয়াত সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দিন খান বাদল। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড ও তাহের ব্রাদার্স লিমিটেড এ কাজে নিয়োজিত ছিল। সংস্কার কাজ শেষে ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ সড়ক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংস্কার কাজ চলাকালীন সময়ে দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে উপজেলার প্রধান এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিলো। এসময় চরমে পৌঁছে জনদুর্ভোগ।
সংস্কার কাজের জন্য সড়কটি বন্ধ থাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতাধীন অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ক্ষতবিক্ষত ও খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়। এতে ক্ষতির পরিমাণ ১৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় বলে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলী ম.বিল্লাল হোসেন জানিয়ে ছিলেন, ‘সওজের সংস্কার কাজের জন্য প্রধান সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলর বিভাগের আওতাধীন অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে ভারী যানবাহন চলাচল ও ওয়াসার পাইপ বসানোর কারণে ক্ষতবিক্ষত ও খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ আপাতঃদৃষ্টিতে ১৫ কোটি টাকার অধিক হবে।’
তবে উপজেলার প্রধান সড়ক সংস্কার ও ভাণ্ডালজুরি ওয়াসা প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর চূড়ান্তভাবে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে সংস্কারের জন্য ইস্টিমেট তৈরির নির্দেশনা দিয়েছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।