১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি চট্টগ্রামে, দুর্ভোগ বাড়ছেই
দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ১৪৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় যা ছিল ১১২ মিলিমিটার।
এর সঙ্গে কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের কারণে দ্রুত নগরের পানি নামতে না পারায় সকালেই জলাবদ্ধ চট্টগ্রাম দেখতে পান নগরবাসী। বাড়তে থাকে দুর্ভোগ।
নগরের জিইসি মোড়, প্রবর্তক মোড়, পাঁচলাইশ, চকবাজার, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, কাপাসগোলা, শুলকবহর, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ বেশ কিছু নিচু এলাকার সড়ক, বাসা-বাড়ি, দোকানপাটে পানি উঠে গেছে। অনেক বড় সড়কে স্বাভাবিক গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিছু গাড়ি আটকে পড়ে পানিতে। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও পথচারীরা।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আলী আকবর জানান, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে জোয়ার শুরু হয়েছে। ভাটা শুরু হয় ১০টা ৫১ মিনিটে। আবার জোয়ার আসবে বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে।
চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলের মানুষ ভারী বৃষ্টিপাতের সময় জোয়ারে শঙ্কিত থাকে। এ সময় পানি নামতে না পেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানিবন্দী হয়ে থাকতে হয়। বিশেষ করে পুরোনো আমলের বাড়ি, ভিটা, দোকান, গুদামগুলোতে পানি ঢুকে দুর্ভোগ বাড়ায়। তবে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ ছিল না। তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকসহ কর্মস্থলগামী এবং খেটে খাওয়া মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। বেশি ভাড়ায় রিকশা ও ভ্যানে চড়ে অনেকে পানি পার হতে দেখা গেছে।
খাতুনগঞ্জের ডাল ব্যবসায়ী পরিতোষ দে জানান, ভারী বৃষ্টিতে নিচু এলাকার আড়ত ও দোকানে পানি ঢুকেছে। তবে যারা আড়ত ও গুদামের মেঝে উঁচু করতে পেরেছেন, সামনের ও পেছনের অংশে পানিরোধক দেয়াল দিতে পেরেছেন তারা রক্ষা পেয়েছেন।
তিনি জানান, নতুন যেসব ভবন তৈরি করা হয়েছে সেগুলো ভরা জোয়ারের পানিতেও যাতে অসুবিধা না হয় সেভাবে উঁচু করা হয়েছে।