স্থবিরতা কাটিয়ে উঠছে চট্টগ্রামের আদালত
সরকার পতনের আন্দোলনকে সাধারণ ছুটি ঘিরে স্থবির হয়ে পড়েছিল চট্টগ্রামের আদালত সমূহ। তবে সেই স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে কাজ চলছে।
রোববার (১১ আগস্ট) চট্টগ্রামের আদালতগুলোতে সীমিত পরিসরে বিচারকাজ চলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ, চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সমূহের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
বিচারিক আদালতের জামিন আবেদনের শুনানিসহ দেওয়ানি, ফৌজদারি ও ফৌজদারি বিবিধ মামলার শুনানি হয়েছে। তবে আদালতে কারাগার থেকে কোন আসামি আনা হয়নি। বিশেষ আদালতগুলোতে। কার্যতালিকায় মামলাগুলো এদিন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তবে সাক্ষ্যগ্রহণ বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো শুনানি হয়নি বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারীরা। আদালত প্রাঙ্গণে পোশাকসহ কোনো পুলিশকে নিরাপত্তা রক্ষায় দেখা যায়নি। তবে জিআরও শাখায় কিছু সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যদের দেখা গেছে। আদালতের নিরাপত্তায়র আদালত ভবনে আনসার সদস্যদেরও দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের আদালতগুলোতে বিচারিক কাজ চলছে, কোনো ধরণের সমস্যা হচ্ছে না।
রোববার স্বাভাবিকভাবে আমাদের প্রত্যেক আদালতের বিচারিক কাজ চলছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আবু তাহের। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার দীপেন দাশগুপ্ত বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের আদালত বসেছিল, আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলেছে।
চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে জেলা ও দায়রা জজ ও মহানগর দায়রা জজ আদালতগুলোতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। আশা করছি, চলতি সপ্তাহেই স্থবিরতা কাটিয়ে পূর্ণরূপে আদালতের কাজ শুরু হবে।
চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আসিফ ইশতিয়াক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, জামিনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এদিন শুনানি হয়। তবে সাক্ষ্যগ্রহণ বা বিচারিক কাজ হয়নি। কারণ এদিন কারাগার থেকে কোনো আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তাই বিচারকরা এজলাসে বসলেও কোনো আসামিকে হাজির করা হয়নি।