চট্টগ্রামবন্দর

বন্দর থেকে কনটেইনার ডেলিভারি নিতে তাগাদা

বন্দরের ৫৩ হাজার ৫১৮ একক কনটেইনার ধারণক্ষমতার বিপরীতে বিভিন্ন ইয়ার্ডে গত সোমবার (১২ আগস্ট) ৩৭ হাজার ৮৬৮ একক এফসিএল কনটেইনার এবং বিভিন্ন সিএফএস সেডে ১ হাজার ২২৬ একক এলসিএল কনটেইনার পণ্য ছিল। এই কনটেইনার ও খোলা পণ্যগুলো দ্রত খালাস নিতে চট্টগ্রাম চেম্বার, বিজিএমইএ ও সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনকে ওইদিন চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

একই দিনে চিঠি পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছে অফডক মালিকদের সংগঠন বিকডাকে। বন্দরের ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- চট্টগ্রাম বন্দরে অভ্যন্তরে বিভিন্ন ডিপোতে যাওয়ার জন্য ২ হাজার ৩৩৫ একক কনটেইনার ছিল। এছাড়া আরো ২ হাজার ৮২০ একক ডিপোগামী কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে আসা বিভিন্ন জাহাজে বার্থিংয়ের অপেক্ষায় রয়েছে।

এদিকে ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডার তথ্য অনুসারে, সোমবার (১২ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬১৭ একক আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ডিপোতে গেছে। অন্যদিকে, ডিপো থেকে ১ হাজার ৯৭৬ একক রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার ডিপো থেকে জাহাজে ওঠার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশ করেছে। ওইদিন ১৯টি বেসরকারি ডিপোতে রপ্তানি পণ্য নিয়ে ৩ হাজার ২৯৫টি গাড়ি প্রবেশ করেছে। ওইদিনের হিসেব অনুযায়ী ডিপোতে মোট ১৫ হাজার ৫৭৫ একক রপ্তানি কনটেইনার অবস্থান করছিল। এছাড়া ৮ হাজার ৩৭৭ একক আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার এবং ৪১ হাজার ৮৫ একক খালি কনটেইনারও ডিপোগুলোতে অবস্থান করছিল। ওইদিন ডিপোগুলো থেকে ৮৬০ একক আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার ডেলিভারিও হয়েছিল।দ্রুত কনটেইনার ডেলিভারি নেওয়া প্রসঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার সংখ্যা বেড়ে গেলে রুটিন কাজ অনুযায়ী ব্যবসায়ী সংগঠন ও বন্দর সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে দ্রুত খালাস নিতে অনুরোধ করা হয়। যাতে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় পণ্য ডেলিভারি বেড়েছে, এতে জট বাধার শঙ্কা কমে এসেছে। তবে, মঙ্গলবারের হিসেব অনুযায়ী এখনো বহির্নোঙ্গরে পণ্য নিয়ে ১৬টি জাহাজ অপেক্ষায় রয়েছে। এসব জাহাজের পণ্য নামালে যাতে বন্দরে জট সৃষ্টি না হয় তাই আগাম সব ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পণ্য ডেলিভারি নিতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *