জাতীয়

চাঁদাবাজির মামলায় বরগুনা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক কারাগারে

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল ও ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলায় গ্রেপ্তার করা বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবিরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ভোরে আমতলার পাড় এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ঢাকার পিবিআই তাকে গ্রেপ্তার করে।

বরগুনা সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ হাওলাদারের করা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল ও ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলায় জাহাঙ্গীর কবিরসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে আরও সাতজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। বরগুনা সদর থানার এ মামলায় জাহাঙ্গীর কবিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিনই তাকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলা নম্বর-১/২০৯-১৪.৮.২০২৪ ইং।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, আমার মোটর পার্টসের ব্যবসা রয়েছে। জাহাঙ্গীর কবির ও অন্য আসামিরা সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে থানা এলাকায় জোর করে বিভিন্ন দোকানপাট দখল করাই ছিল তাদের পেশা। আসামিরা ২০১১ সালে আমার পুরোনো লঞ্চ ঘাটের ডিসিআরকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারুন মোটরসে এসে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর ২৫ জানুয়ারি ২০১১ তারা এসে আমাকে রক্তাক্ত জখম করে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলে নিয়ে নেন। এরপর আমি বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিই। পরে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফিরে পাইনি। এতদিন আওয়ামী লীগের সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে আমি ভয়ে মামলা করতে পারিনি।

এদিকে সোমবার (১২ আগস্ট) রাত ৮টা ১০ মিনিট থেকে প্রায় তিন মিনিট শেখ হাসিনার সঙ্গে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবিরের কথা হয়। ফোনালাপের সময়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ফোনালাপে শেখ হাসিনাকে দলীয় কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনা দিতে শোনা যায় এবং ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস (সদ্য বাতিল হওয়া শোক দিবস) যথাযথভাবে পালন করার নির্দেশ দিতে শোনা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *