দেশজুড়ে

কদমতলীর শীর্ষ মাদক কারবারি জরিনা গ্রেপ্তার

রাজধানীর কদমতলী থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবা ও হেরোইনসহ শ্যামপুর-কদমতলীর তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক সম্রাজ্ঞী মোছা. জরিনা বেগমকে (৫৬) গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর কদমতলী থানাধীন বড়ইতলা শ্যামপুর ওয়াসা রোড আরবি স্টিল মিল সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযানে জরিনার কাছ থেকে ২ গ্রাম হেরোইন এবং ২০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

শ্যামপুর-কদমতলীর তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি ছিলেন মোছা. জরিনা বেগম। তার স্বামীর নাম মো. দেলোয়ার হোসেন। জরিনা কদমতলী ধানাধীন শ্যামপুর বড়ইতলা রেল লাইনের পার্শ্বে ওয়াসা রোড আরবি স্টিল মিল সংলগ্ন এলাকায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার নারায়ণধর এ। জরিনার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গত ৫ জুন ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয়ের ডেমরা সার্কেলের কর্মকর্তারা জরিনা বেগমকে ৩০ গ্রাম হেরোইনসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছিল। ওই সময় জরিনা বেগমের দুই ছেলে কদমতলী এলাকার মাদক কারবারি রাব্বি (২৫) ও মো. রোহান (২২), মেয়ে মোসা. তানিয়া (২৪) এবং কদমতলী এলাকার মাদক কারবারি মো. চাঁন বাদশা (২৩), অন্তর (২৬) ও মো. রিয়াজ (১৯) এর নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ৭০-৭৫ জন নারী ও পুরুষ ইট-পাথর ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অভিযানিক দলের সদস্যদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে সিপাই হাফিজুর রহমান মারাত্মক জখম করেছিল। তারা জরিনা আক্তার ওরফে মোছা. জরিনা বেগমকে (৫৬) ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে গত ১০ জুন জরিনা বেগমের মাদক আস্তানা উচ্ছেদে ঢাকা মেট্রো (দক্ষিণ) কার্যালয় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ৫০টি ইয়াবা, ২৫০ গ্রাম গাঁজা এবং মাদক বিক্রির ৫০ হাজার টাকাসহ জরিনা বেগমের ৪ জন সহযোগীকে হাতেনাতে আটক করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে জরিনা বেগম ও তার মেয়ে তানিয়া ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন আসামি জরিনা বেগম ও তার পরিবার এবং সহযোগীরা গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও তাদের গতিবিধি অনুসরণ করে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদক কারবারি জরিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়৷

কে এ জরিনা?

শ্যামপুর-কদমতলীর তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি জরিনা দীর্ঘদিন ধরে শ্যামপুর, কদমতলী ও যাত্রাবাড়ি এলাকায় একটি গ্যাং তৈরি করে ইয়াবা, হেরোইন ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করে আসছিল। জরিনা বেগম ও তার পরিবার এবং সহযোগীরা মিলে বড়ইতলা এলাকায় মাদকের আস্তানা গড়ে তোলে। জরিনা বেগম এবং তার দুই ছেলে রাব্বি (২৫) মো. রোহান (২২) এর বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৬টি মাদক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে জরিনা বেগমের (৫৬) বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৫টি মামলা রয়েছে।

জরিনা বেগমের দুই ছেলে ও অন্যান্য সহযোগীরা বর্তমানে পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *