আদালত-বিচারকদের নিরাপত্তা বাড়াতে সুপ্রিমকোর্টের চিঠি
সুপ্রিম কোর্টসহ ঢাকা মহানগর এবং দেশের সব জেলায় অবস্থিত আদালতে এবং বিচারকদের বাসভবনে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পুলিশ প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পুলিশের আইজি ও ডিএমপি কমিশনার বরাবর দেওয়া পৃথক চিঠিতে এই নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মহানগর দায়রা জজ আদালত, ঢাকা ও জেলা জজ আদালত এবং খুলনায় বোমা হামলা হয়েছে। ইতিপূর্বে কুমিল্লা আদালতে বিচারকের খাস কামরায় বিচারপ্রার্থীকে হত্যার ঘটনা ও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোতে সারা দেশের বিচারকরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
দেশের বিচারব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ, বিচারকদের বহনকারী গাড়ি ও বাসভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অতি জরুরি। প্রধান বিচারপতি সারা দেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ এবং বিচারকদের বহনকারী গাড়ি ও বাসভবনের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশনা দিয়েছেন।
এমতাবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স ও বিচারপতি ভবন এবং ঢাকা মহানগর এলাকায় অবস্থিত সব আদালত প্রাঙ্গণ ও আজিমপুরস্থ জাজেস কোয়ার্টারে সার্বক্ষণিক পুলিশ প্রহরা ও পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স প্রদানসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপি কমিশনারকে অনুরোধ জানানো হলো।
এছাড়া সারা দেশের সবগুলো আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ, বিচারকদের বহনকারী গাড়ি এবং বাসভবনে সার্বক্ষণিক পুলিশি পাহারা ও পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েনসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়ে পুলিশের আইজি বরাবর আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ চিঠি পাঠান।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা। এ সময় কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন দফায় দফায় বৈঠক করে আদালত প্রাঙ্গণ ও বিচারকদের বাসভবনে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এই চিঠি দেওয়া হলো।