চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে টর্চার সেল খুলে শ্রমিক নির্যাতনকারী জানে আলমকে গ্রেপ্তারের দাবি

আয়নাঘর কায়দায় নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকায় টর্চার সেল খুলে ১৭ নম্বর রোডের পরিবহন শ্রমিকদের আওয়ামী লীগ নেতা জানে আলমের নির্যাতন ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে চট্টগ্রাম অটো টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার ( ২৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর জামালখানের এক্সক্লুসিভ কনভেনশন হলে চুরি ডাকাতি ও অপহরণসহ ১২ মামলার আসামি অভিযুক্ত জানে আলমকে গ্রেপ্তারের দাবি তোলা হয় এই সংবাদ সম্মেলন থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ১৭ নম্বর রোডে তিন শতাধিক টেম্পো থেকে নানা কায়দায় জনে আলমের মাসে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে চালকরা। সেই টাকায় বাকলিয়া থানা ও ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া শ্রমিক ও ইউনিয়নের নেতাদের মামলা হামলা দিয়ে হয়রানি করেছে জানে আলম। ২০১২ সালে নতুন ব্রিজে টেম্পোতে হেলপার হিসেবে কাজ করতে আসা জানে আলম এই কয় বছরে কোটিপতি বনে গেছে। যেখানে দিনশেষে চালক হেলপারদের নিত্যদিনের বাজার সদাই কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সেখানে চাঁদাবাজির টাকায় বাকলিয়া মৌজার রাজাখালী এলাকায় গতবছর জায়গা কিনেছেন জানে আলম। এছাড়া চন্দনাইশে একটি কমিউনিটি সেন্টারের মালিকানা ও প্রাইভেটকারও কিনেছেন এই চাঁদাবাজির টাকায়।

তার এইসব অবৈধ রাজত্ব কায়েম করতে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেছে। তারাই বিভিন্ন সময় শ্রমিকদের উপর লাঠি, পাইপ ও কিরিচ নিয়ে হামলা করেছে। র‌্যাব পুলিশের একাধিক অভিযানে তারা বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তারও হয়েছে। টর্চার সেল থেকে লাঠি, পাইপ ও কিরিচ উদ্ধার করা হয় বলে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে জানে আলম তার বাহিনী নিয়ে হামলা করেছে। এ ঘটনার নতুন করে চান্দগাঁও, বাকলিয়া ও কোতোয়ালীতে তিনটি মামলা করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট জানে আলম পালিয়ে গেলেও আড়াল থেকে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্নজন দিয়ে মামলা করার চেষ্টা করছে। জানে আলমের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে দুজন জিডি করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকরা নিজেদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *