চট্টগ্রামে জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা
হাটহাজারীর কুয়াইশ-বুড়িশ্চর এলাকায় যুবলীগ কর্মী মাসুদ কায়সার (২৮) হত্যার ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
অপরদিকে একই ঘটনায় নিহত যুবলীগ কর্মী মো. আনিসের (৩৫) পরিবার শুক্রবার রাতের মধ্যেই নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিংহ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে আনিসকে নগরের অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কের নাহার কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় এবং মাসুদকে হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম কুয়াইশ এলাকায় গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
আনিস হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম কুয়াইশ হাজী ওসমান আলী মেম্বার বাড়ির মৃত মো. ইছহাকের ছেলে। তারা দুই ভাই এক বোন। আনিস বিবাহিত ছিলেন। তার স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে। জমিজমা ও পোলট্রি ব্যবসা করতেন আনিস।
অপরদিকে নিহত মাসুদ কায়সার বোয়ালখালী উপজেলায় মো. রফিকের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে কায়সার সবার বড়। ছোটবেলা থেকেই তারা পশ্চিম কুয়াইশ এলাকার নানা বাড়িতে লালিত-পালিত হয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামে স্কুল পরিচালনায় আধিপত্যের জেরেই যুবলীগ কর্মী আনিস ও মাসুদ কায়সার খুন হয়েছেন। নিহত দুজনই হাটহাজারীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুচ গণি চৌধুরীর অনুসারী।