সীমান্তে হত্যা: বিচারের উদ্যোগ নিতে ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বান
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক কিশোরী স্বর্ণা দাসকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা সীমান্তে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচারের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে ছাত্র ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত করা হয়েছে। পৃথিবীর আর কোনো সীমান্তে এরকম নির্মমভাবে মানুষ হত্যার নজির পাওয়া যাবে না। এমনকি হত্যাকাণ্ডের পর এসব ঘটনার কোনো বিচারও হয়নি। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ফেলানী খাতুনকে গুলি করে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখার ঘটনা পুরো পৃথিবীর নজর কারলেও এমনকি সেই হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হয়নি। এমনকি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে যথাযথ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতেও আমরা দেখিনি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হয়েছে। এর মাস পেরোনোর আগেই আবার সীমান্তে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বিএসএফ। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে স্বর্ণা দাসকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে স্বর্ণা দাসসহ এযাবৎকালে সংঘটিত সীমান্তে সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি এবং অন্তবর্তী সরকারকে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।