গাজায় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ৬ লাখেরও বেশি শিশু
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে গত ১১ মাস ধরে বর্বর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশ ইসরায়েল। চলমান এ যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে উপত্যকাটির কোমলমতি শিশুরা।
দীর্ঘ সময়ের এই যুদ্ধ গাজার শিশুদের শৈশব কেড়ে নিয়েছে। গাজার প্রায় ৮০ ভাগ স্কুলই ধ্বংস হয়ে গেছে এবং শিক্ষা বা খেলা ছাড়াই অনাহারে দিন কাটাচ্ছে শিশুরা। ইসরায়েলের আগ্রাসনের কারণে পুরো একটি শিক্ষাবর্ষ হারিয়েছে গাজার শিশুরা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৬ লাখ ৩০ হাজার শিশু তাদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খবর আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরও বলছে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে ৫৮ হাজার ফিলিস্তিনি শিশুর স্কুলজীবন শুরু করা কথা ছিল। তবে যুদ্ধের কারণে তাঁরা শিক্ষা বঞ্চিত রয়ে গেছে। এছাড়া ৩৯ হাজার শিক্ষার্থী তাদের উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা দিতে পারছে না যুদ্ধের কারণে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজার স্কুলের শ্রেণীকক্ষগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যেগুলো রয়েছে সেগুলো বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। গাজার প্রায় ৮০ শতাংশ স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং উপত্যকাটির শেষ বিশ্ববিদ্যালয়টিও গত জানুয়ারী মাসে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ধ্বংস করে দিয়েছে।
এছাড়া উপত্যকাটির ৩০৭টি পাবলিক স্কুল ভবনের প্রায় ৯০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে।
ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ২৫ হাজারেরও বেশি শিশু হতাহত হয়েছে যাদের মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ছিল।
গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪১ হাজারে পৌঁছেছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।