হাটহাজারীতে মসজিদের টাকা নিয়ে সংঘর্ষ: নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
হাটহাজারীতে মসজিদের মুসল্লীদের কাছ থেকে পাওয়া মাত্র এক হাজার পাঁচশ টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে একটি পক্ষ সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হাটহাজারী পৌরসভার একটি রেস্টুরেন্টে ৭০টি পরিবারের পক্ষের এগারো জন এই সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা হলেন- কুতুব উদ্দিন, সেকান্দর সর্দ্দার, মো. রমজান, বদিউল আলম, মো. নাসির, মো. সানাউল্লাহ, লেদুমনা, সামসুর নাহার, মো. লিটন, মো. রাজু ও কামরুন নাহার।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রায় এক বছর আগে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সৈয়দ বাড়ির বাসিন্দারা ৭০টি এবং ২৫০টি পরিবার নিয়ে দুটি পৃথক সমাজে বিভক্ত হন। ওই এলাকার প্রতি পরিবারের কাছ থেকে বছরে ৫০০ টাকা হারে আদায় করে এলাকার সৈয়দ বাড়ী জামে মসজিদটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। গত ৩ সেপ্টেম্বর ৭০ পরিবারের সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে মসজিদের ব্যয়ভার বহন করার দায়িত্ব নেন। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর জুম্মার নামাজের সময় মুসল্লিদের নিকট থেকে উত্তোলনকৃত ১ হাজার ৫০০ টাকা ২৫০ পরিবারের কয়েকজন সদস্য জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ৭০ পরিবারের পক্ষের লোকজন বাধা দেন। এর জের ধরে ওই দিন দুপুরে প্রতিপক্ষের ২৫০ পরিবারের ১৫/২০ জন ব্যক্তি ৭০ পরিবারের লোকজনের উপর হামলা চালান।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, হামলাকারীরা লোহার রড, পাইপ, দা, কিরিচ দিয়ে লেদুমনা ও সেকান্দার পরিবারের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন এবং নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যান। এসময় বাধা দিতে গেলে মোহাম্মদ জাফর, জীবন, জাহেদ, লেদুমনা, সামসুর নাহার ও কামরুন নাহার নামে ৬ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। আহতদের মধ্যে জাফর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
অপরদিকে, ২৫০টি পরিবারের পক্ষের মো. আশিকের দাবি, ৭০ পরিবারের লোকজন ২৫০ পরিবারের স্থানীয় প্রতিনিধি বাদশা আলমের পরিবারের উপর হামলা চালান এবং পরে পরিকল্পিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।