সীমান্ত হত্যা ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে বড় বাধা: তৌহিদ হোসেন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক জোরদারে সীমান্ত হত্যা একটি বড় বাধা।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক জন-মানুষের পর্যায়ে জোরদার করা দরকার। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটলে তা জনগণের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। আমরা এটা চাই না। সীমান্ত হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।
সীমান্তে স্বর্ণা দাস নামে এক কিশোরীকে হত্যার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নিশ্চয়তার অপেক্ষায় আছি। এটা পেলেই আমরা নয়াদিল্লির কাছে কড়া প্রতিবাদ জানাবো। এই হত্যাকাণ্ডকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
তৌহিদ হোসেন উল্লেখ করেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের তথাকথিত ‘সোনালী অধ্যায়’ চলাকালীনও সীমান্ত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে এবং এ ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, ‘ভারত ঢাকার সঙ্গে সুসম্পর্ক চাইলে এ সম্পর্ক অবশ্যই ন্যায্যতার ভিত্তিতে গড়ে তুলতে হবে। আমরা একতরফা সম্পর্ক চাই না।’
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার ১৩ বছর বয়সী বাংলাদেশি কিশোরী স্বর্ণা দাসকে ১ সেপ্টেম্বর ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) গুলি করে হত্যা করে। হত্যার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানায়।
প্রসঙ্গত, স্বর্ণা দাসকে হত্যার এক সপ্তাহ’র ব্যবধানে ঠাকুরগাঁও সীমান্তে আরও কিশোরকে হত্যা করেছে বিএসএফ।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের কান্তিভিটা সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় জয়ন্ত কুমার সিংহ (১৫) নামে এক কিশোর। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন অন্য দুজন। খবর: বাসস